অনলাইন
কবিতা
সমাধিস্তম্ভে লেখে দিয়ো ১১১
শহীদুল্লাহ ফরায়জী
২০২০-১০-১৮
(উৎসর্গ: রায়হান আহমদ)
পুলিশ হেফাজতে
আমার এই মাটির দেহে
১১১ বার আঘাত করেছে
চার ঘন্টার নির্মম নির্যাতনে
২ লিটার রক্ত চামড়ার নিচে
আশ্রয় নিয়েছিলো
হায় ক্ষতবিক্ষত আমার দেহ
মা বিনা অপরাধে
আমার স্বপ্ন ও শরীর
ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলো
মা
ধনরত্ন নাই বলে আক্রোশে
আর ভয়াবহ হিংস্রতায়
একটার পর একটা নখ
আমার উপড়ে ফেলেছে
মা ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার আর্তচিৎকারে
খোদার আরশ কেঁপে উঠলো
কিন্তু ঘাতকের হাত কাঁপলো না
মা তুমিও কেমন
আমার হৃদয় বিদীর্ণ করা
কান্না শুনতে পারোনি
তুমি এসে যদি মায়ের দাবি
নিয়ে ফরিয়াদ করতে..
মা
আমার বুকের পাঁজর
আমার হাত আমার পা
কী জানি কী আঘাতে থেঁতলে দিয়েছে
পাষাণ প্রাচীরে আঘাতে আঘাতে
আমার সমস্ত শরীরটা
জ্বলন্ত চুল্লির মত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে
আমি কত মিনতি করলাম
আমি মানুষ তো
আর সহ্য করতে পারছিনা
আমার মাথায় চূড়ান্ত আঘাত করুন
চিরতরে শেষ হয়ে যাই
ওরা বললো
না না তোকে তাড়াতাড়ি শেষ করবো না
জবাই করা পশুর মত
খন্ড বিখন্ড করবো
মাংসের মতো টুকরো করবো
মা ওরা সত্যি সত্যি
আমার শরীরের সকল
মাংসপিণ্ডকে থেঁতলে দিয়েছে
মা এত নরক যন্ত্রণা
এত মর্মভেদী দুঃসহ অনন্ত বেদনা
তখন আমি দীর্ঘশ্বাস
আর অশ্রুপাতে দিশেহারা
অবশেষে মস্তিষ্ক ফুসফুস কিডনি হৃদপিণ্ড
সহানুভূতি জানিয়ে
আত্মাকে দেহ মুক্ত করে দিলো
মা
নিষ্ঠুর যন্ত্রনায় হত্যা করার জন্য
আমি কাকে অভিযুক্ত করবো
তোমাকে না গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রকে
মা রাষ্ট্র আর নাগরিক কি
পরস্পরের শত্রু
রাষ্ট্র কি চালকবিহীন তরী
মা তোমার চোখের জলের
দিব্যি দিয়ে বলছি
তোমার জীবদ্দশায়
এই রাষ্ট্রের কাছে
বিচার চাইবে না
কারণ রাষ্ট্র অন্ধ
প্রকৃত সত্য দেখতে পায়না
মা একটা অনুরোধ রাখবে
শেষ অনুরোধ
তোমার দেওয়া নাম নয়
আমার সমাধিস্তম্ভে
লিখে দিয়ো শুধু ১১১।
--
লেখক: শহীদুল্লাহ ফরায়জী
গীতিকার
১৮.১০.২০২০
--
পুলিশ হেফাজতে
আমার এই মাটির দেহে
১১১ বার আঘাত করেছে
চার ঘন্টার নির্মম নির্যাতনে
২ লিটার রক্ত চামড়ার নিচে
আশ্রয় নিয়েছিলো
হায় ক্ষতবিক্ষত আমার দেহ
মা বিনা অপরাধে
আমার স্বপ্ন ও শরীর
ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলো
মা
ধনরত্ন নাই বলে আক্রোশে
আর ভয়াবহ হিংস্রতায়
একটার পর একটা নখ
আমার উপড়ে ফেলেছে
মা ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার আর্তচিৎকারে
খোদার আরশ কেঁপে উঠলো
কিন্তু ঘাতকের হাত কাঁপলো না
মা তুমিও কেমন
আমার হৃদয় বিদীর্ণ করা
কান্না শুনতে পারোনি
তুমি এসে যদি মায়ের দাবি
নিয়ে ফরিয়াদ করতে..
মা
আমার বুকের পাঁজর
আমার হাত আমার পা
কী জানি কী আঘাতে থেঁতলে দিয়েছে
পাষাণ প্রাচীরে আঘাতে আঘাতে
আমার সমস্ত শরীরটা
জ্বলন্ত চুল্লির মত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে
আমি কত মিনতি করলাম
আমি মানুষ তো
আর সহ্য করতে পারছিনা
আমার মাথায় চূড়ান্ত আঘাত করুন
চিরতরে শেষ হয়ে যাই
ওরা বললো
না না তোকে তাড়াতাড়ি শেষ করবো না
জবাই করা পশুর মত
খন্ড বিখন্ড করবো
মাংসের মতো টুকরো করবো
মা ওরা সত্যি সত্যি
আমার শরীরের সকল
মাংসপিণ্ডকে থেঁতলে দিয়েছে
মা এত নরক যন্ত্রণা
এত মর্মভেদী দুঃসহ অনন্ত বেদনা
তখন আমি দীর্ঘশ্বাস
আর অশ্রুপাতে দিশেহারা
অবশেষে মস্তিষ্ক ফুসফুস কিডনি হৃদপিণ্ড
সহানুভূতি জানিয়ে
আত্মাকে দেহ মুক্ত করে দিলো
মা
নিষ্ঠুর যন্ত্রনায় হত্যা করার জন্য
আমি কাকে অভিযুক্ত করবো
তোমাকে না গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রকে
মা রাষ্ট্র আর নাগরিক কি
পরস্পরের শত্রু
রাষ্ট্র কি চালকবিহীন তরী
মা তোমার চোখের জলের
দিব্যি দিয়ে বলছি
তোমার জীবদ্দশায়
এই রাষ্ট্রের কাছে
বিচার চাইবে না
কারণ রাষ্ট্র অন্ধ
প্রকৃত সত্য দেখতে পায়না
মা একটা অনুরোধ রাখবে
শেষ অনুরোধ
তোমার দেওয়া নাম নয়
আমার সমাধিস্তম্ভে
লিখে দিয়ো শুধু ১১১।
--
লেখক: শহীদুল্লাহ ফরায়জী
গীতিকার
১৮.১০.২০২০
--
