× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, যেমন আছে ইউরোপ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ১৯, ২০২০, সোমবার, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস দ্বিতীয় দফায় আঘাত হেনেছে ইউরোপে। এর ফলে একদিনে ফ্রান্সে রেকর্ড সংখ্যক ৩২ হাজার ৪২৭ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন শনিবার। তবে রোববার তা কমে ৩০ হাজার হয়েছে। অন্যদিকে ইতালিতে রোববার একদিনে নতুন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর প্রেক্ষাপটে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, রাজধানী প্যারিস সহ ফ্রান্সের মোট ৯টি নগরীতে রাত ৯টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত কমপক্ষে এক মাসের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ সময়ে কেউ বাইরে বের হলে তাকে যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে। যদি তা দেখাতে না পারেন তাহলে জরিমানা করা হবে ১৩৫ ইউরো।
আজ সোমবার থেকে চার সপ্তাহের জন্য সব বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখছে বেলজিয়াম। সেখানেও রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ দেয়া হয়েছে। রাত ৮টার পর সব রকম এলকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকান্দার ডি ক্রু বলেছেন, এসব বিধিনিষেধ খুবই কঠোর এ বিষয়ে আমি পুরোপুরিভাবে অবহিত। কিন্তু সামনের কয়েকটি সপ্তাহ হবে অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু আরো খারাপ অবস্থাকে এড়ানোর জন্য আমাদেরকে এসব পদক্ষেপ নিতেই হচ্ছে।
রোববার সুইজারল্যান্ডে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ঘরের মধ্যেও লোকজনের আনাগোনা আছে এমন স্থানে মুখে মাস্ক পরা আজ সোমবার থেকে বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ১৫ জনের বেশি মানুষকে একত্রিত হওয়া।
চেক প্রজাতন্ত্র রোববার বলেছে, পূর্ণাঙ্গ লকডাউন দেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আরো দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করবে। বর্তমানে ইউরোপের মধ্যে এই দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার সর্বোচ্চ। সোমবার থেকে নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা আয়ারল্যান্ডের। একজন মন্ত্রী বলেছেন, স্থানীয় পর্যায়ের নীতি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই মন্ত্রীপরিষদ চতুর্থ লেভেলের বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে পরিকল্পনা করছে। এতে সব রকম অনাবশ্যক ব্যবসা বন্ধ রাখার কথা বলা হবে।
জার্মানিতে শনিবার একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল জনগণকে ঘরের ভিতর অবস্থান করার আহ্বান জানান এবং সম্ভব হলে ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দেন। ওদিকে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট স্বীকার করেছেন, রাজপরিবারকে তার আরো ভাল পরামর্শ দেয়া উচিত। ওই পরিবারটি তীব্র সমালোচনার পর গ্রিসে তাদের অবকাশ যাপন সংক্ষিপ্ত করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর