× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুলিশের চাকরিতে জালিয়াতি / বরগুনা আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

বাংলারজমিন

বরগুনা প্রতিনিধি
২১ অক্টোবর ২০২০, বুধবার

বরগুনায় পুলিশের কনস্টেবল চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রইসুল আলম রিপন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে বরগুনায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থী হয়ে আবেদন করেন বরগুনার পৌর সুপার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মো. মজিবুর রহমানের ছেলে রাজু। এ নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাজুর পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবু। পরে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২১শে এপ্রিল বরগুনা সদর থানার এএসআই শামীম রেজা একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তের সময় এ জালিয়াতির টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধের তথ্য পায় পুলিশ। পরবর্তীতে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভার কাউন্সিলর রইসুল আলম রিপনের কাছে এ জালিয়াতির জন্য জমা থাকা পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ই ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তৎকালীন বরগুনার সিআইডি’র ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম।
মামলায় জামিনে থাকা রইসুল আলম রিপন এবং রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুর জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন তারা। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই সাথে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন আরাফাতের আদালতে পাঠান। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মজিবুল হক কিসলু বলেন, আসামিরা নির্দোষ। অন্যায়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। আমরা তাদের জামিনের জন্য আবেদন করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর