× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নন্দীগ্রামে ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশাহারা কৃষক

বাংলারজমিন

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
২১ অক্টোবর ২০২০, বুধবার

বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধানক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিলে তিলে গড়ে তোলা কষ্টার্জিত ফসলকে কারেন্ট পোকার হাত থেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। এ বছর নন্দীগ্রাম পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ফসলের মাঠে হালকা বাতাসে দোলা খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ, আবার অনেক জায়গায় মাঠ যেন সবুজের সমারোহ। ধান উৎপাদনের দিকে বিখ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলা। প্রতি বছর এখানে অনেক ধান উৎপন্ন হয় যা উপজেলার চালের চাহিদা মিটিয়েও ধান রপ্তানি করা হয়। এ বছর ১৯ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এখন ধানের সময় প্রায় শেষের দিকে আর এ সময় জমিতে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে।
এর মধ্যে সবচেয়ে  মারাত্মক পোকা হচ্ছে বাদামি গাছফড়িং বা কারেন্ট পোকা। এ পোকা ধানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমতাবস্থায় ধানক্ষেতে কারেন্ট পোকা ভয়ানক আক্রমণ করেছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার ফোকপাল গ্রামের কৃষক শাহ আলম, রিধইল গ্রামের বুলু মিয়া, জয়নাল আবেদিন, মামুনুর রশিদ জানান- আমন ধানক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না। শীষ বের হয়ে পাকতে শুরু করা ধানগুলো কারেন্ট পোকার আক্রমণে শুকিয়ে খড়ে পরিণত হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার একাধিক কৃষক অভিযোগের সুরে জানান,  গতবারের মতো এবারো কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আর এ সময় যে অবস্থা তাতে খরচ তোলাই কঠিন। ফলে কৃষকরা হতাশায় পড়েছেন। এমন সময় উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা আমাদের কারেন্ট পোকা থেকে ধানক্ষেতকে বাঁচাতে কোনো দিকনির্দেশনা প্রদান করেননি। আমাদের ফসলের দিকেও তাদের কোনো লক্ষ্য নেই। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আদনান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কারেন্ট পোকার কবল থেকে ফসল রক্ষার জন্য ও কৃষকদের কারেন্ট পোকা বিষয়ে সজাগ করার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ, মাঠ দিবস, পরিদর্শন, উঠান বৈঠকসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত গাছের গোড়া পর্যবেক্ষণ করা, জমিতে পোকা দেখা দিলে  জমি থেকে পানি সরিয়ে জমি কয়েকদিন শুকিয়ে রাখা। আরো বলা হয়েছে, ৪-৫ সারি পর পর বাঁশ দিয়ে ফাঁকা করে আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা  করা ও বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৭ কেজি এমওপি সার প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর