গাইবান্ধায় লিয়ন মিয়া নামে চাচা কর্তৃক ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার খামার টেংগরজানী গ্রামে ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এখন সদর হাসপালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর স্বজনরা জানান, প্রতিবেশী সাহেব মিয়ার ছেলে বখাটে লিয়ন মিয়া সম্পকে চাচা হলেও দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। লম্পট লিয়নের পরিবারকে একাধিকবার এ বিষয়টি জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় মেয়েটি পাশের বাড়ীতে টেলিভিশন দেখতে যায়। রাত ৮ টার দিকে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাহিরে বের হলে ওৎ পেতে থাকা লম্পট লিয়ন মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পাশ^বর্তী মামুন মিয়ার একটি নির্মাণাধীন ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটি চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ গামছা দিয়া বেধে ফেলে লিয়ন। ধর্ষণ করার পর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে মেয়েটিকে ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকী দিয়ে পালিয়ে যায় লম্পট লিয়ন। এরপর মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ী ফিরে কান্নাকাটি করলে ঘটনাটি জানতে পারে তার পরিবার। মারাত্বক আহত অবস্থায় মেয়েটিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক লিয়নকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান সদর থানার ওসি।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।