নবীগঞ্জে পৌরসভায় বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে পৌরসভার মেয়র এবং প্যানেল মেয়র সমর্থিত কাউন্সিলররা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। পৌরসভায় এডিপি’র বরাদ্দ আসার আগেই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার পৌরসভার অনলাইন পেইজে প্রায় কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারের বিষয়ে পরিষদের কাউন্সিলর বা প্যানেল মেয়রসহ অনেকেই অবগত না থাকার অভিযোগ উঠেছে। মেয়রের দাবি রেজুলেশনভিত্তিক মতামতের ভিত্তিতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এডিপি’র কোনো অর্থ বরাদ্দ হয়নি। বিধি মোতাবেক অর্থ বরাদ্দ আসার পর পরিষদের মাসিক সভায় রেজুলেশনের ভিত্তিতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়।
মেয়র পরিষদের শেষ বছরে এসে তথ্য গোপন রেখে কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন। এনিয়ে পৌরসভায় নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ববি মজুমদার বলেন, এডিপি’র বরাদ্দ এখনো আসেনি। তবে মেয়রের নির্দেশনায় অনলাইনে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। কাউন্সিলর বাবুল চন্দ্র দাশ বলেন, টেন্ডার হয়েছে শুনেছি। এ বিষয়ে কোনো মিটিং হয়নি। বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং মিটিংয়ের অপেক্ষায় ছিলাম। কাউন্সিলর জাকির হোসেন বলেন, গত মাসিক সভায় মেয়র ৩ লাখ টাকার প্রাথমিক প্রকল্প তৈরির কথা বলেন। বরাদ্দ এলে সিদ্ধান্ত নিয়ে টেন্ডার হবে। এ বিষয়ে কোনো বৈঠক হয়নি। কাউন্সিলর প্রাণেশ দেব বলেন, পৌরসভায় এডিপি’র টেন্ডার হয়েছে তা আমার জানা নেই। কাউন্সিলর কবির মিয়া বলেন, এডিপি’র বরাদ্দের টেন্ডার হয়েছে শুনে হতবাক হয়েছি। টেন্ডার কমিটির আহ্বায়ক ও প্যানেল মেয়র এটিএম সালাম বলেন, মেয়র ছাবির আহমেদ মনগড়া প্রায় কোটি টাকার টেন্ডার নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার নিমিত্তে আহ্বান করেছেন। আমি ওই টেন্ডার প্রত্যাখ্যান করি এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। সার্বিক বিষয়ে অভিযুক্ত মেয়র আলহাজ ছাবির আহমদ চৌধুরী বলেন, পরিষদের সাধারণ সভায় এডিপি বরাদ্দ এবং টেন্ডার বিষয়ে ৩১শে আগস্ট মাসিক সভায় প্রকল্প প্রদানের জন্য কাউন্সিলরবৃন্দকে অনুরোধ জানানো হয়। সে মোতাবেক কাউন্সিলরবৃন্দ প্রকল্প জমা দেন। অনেক ওয়ার্ডে প্রকল্প না আসায় ৩০শে সেপ্টেম্বর মাসিক সভায় আলোচনার ভিত্তিতে সকল ওয়ার্ডের জমাকৃত প্রকল্প টেন্ডারে দেয়া হয়েছে। রেজুলেশনভিত্তিক মতামতের পর গোপনীয়তার অবকাশ নেই।