× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘাঘট নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি আবাদি জমি

বাংলারজমিন

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
২২ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে ঘাঘট নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনের ফলে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। এড়াছাও হুমকির মুখে পড়েছে আরো শতাধিক বসতবাড়ি ও  আবাদি জমি। সরজমিন বুধবার সকালে জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) নামকস্থানে দেখা যায়, নদীভাঙনের চিত্র। জানা যায়, গত  সেপ্টেম্বর মাসে জামালপুর ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে গেছে ভয়াবহ বন্যা। সম্প্রতি পানি কমতে থাকায় শুরু হয়েছে ঘাঘটের অব্যাহত ভাঙন। এ ভাঙনের কবলে ইতিমধ্যে খবির উদ্দিন, জরিপ মিয়া ও দফির উদ্দিনসহ আরো ১০ ঘরবাড়ি চলে  গেছে নদীর পেটে। একই সঙ্গে ফসলি জমিও বিলীন হয়েছে অনেকের।  এছাড়া সাহেব উদ্দিন, আফছার আলী ও সামাদ মুন্সীর বাড়িসহ আরো অন্তত শতাধিক বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
হুমকির সম্মুখিন এসব পরিবারের মানুষেরা ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র। নদী ভাঙনের শিকার মানুষদের মধ্যে অনেকে আশ্রয় নিয়েছে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে। আবার কেউ কেউ আশ্রয় নিতে শুরু করেছে অন্যের জমিতে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী মানুষগুলো দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা মিলেনি তাদের। পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) নামকস্থানে নদীভাঙন প্রতিরোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
ক্ষতিগ্রস্ত খবির উদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। এরই মধ্যে ঘাঘট নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি। ফলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে আসছি। এখন পর্যন্ত সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছি। সফুরা বেওয়া নামের আরেক বৃদ্ধা বলেন, ঘাঘট ভাঙনের তাণ্ডবে ঝুঁকিতে রয়েছে বসতবাড়ি। যে কোনো মুহূর্তে চলে যেতে পারে নদীর পেটে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়ছি। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)  চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করার পাশাপশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করা হয়েছে। ওইস্থানে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর