ভোলার দৌলতখান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। দুই পক্ষই আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ৯ জন দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। দৌলতখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৌলতখান পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিদিনের মতো বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন তালুকদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুর রহমান (টিপু) মঙ্গলবার বিকালে মিছিল বের করেন। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান বোঝাতে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়।
আওয়ামী লীগের এই দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা বিকাল থেকেই সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাংসদের আগমন উপলক্ষে তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হামিদুর রহমান টিপুর কর্মী-সমর্থক অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার ১৫ জন কর্মী আহত করেছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করার লক্ষ্যে ওই প্রার্থী বহিরাগত লোকজন নিয়ে পৌরসভায় জমায়েত করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। মেয়র জাকির হোসেন তালুকদারের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হামিদুর রহমান টিপু বলেন, মেয়রের জামাতা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে বহিরাগতরা তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তাঁর ৩ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আট রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।