× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জোড়া খুনের আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২২ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জোড়া খুন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ প্রভাবশালীদের কারণে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্রের আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জুলাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাসিমা বেগম ও তাছলিমা বেগম। তারা সম্পর্কে আপন দুই বোন।
২০১৭ সালের ১লা মার্চ সন্ধ্যায় সাতমোড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে নাছিমার স্বামী ইয়াছিন মিয়া ও তার ছোট বোন তাছলিমার স্বামী খন্দকার এনামুল হককে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাছলিমা বেগম। এতে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১লা মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ও ইউপি সদস্য সেন্টু মিয়ার নেতৃত্বে আমার স্বামী ও ভগ্নিপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।
ঘটনার পরপর মামলা করতে গেলে প্রভাবশালী মহলের কারণে নবীনগর থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করেনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আদালত মামলাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঢাকার মালিবাগ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত  মহা-পরির্দশককে নির্দেশ দেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২৮ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের ২রা অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনের পর আদালত ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসে ইউপি সদস্য সেন্টু মিয়াসহ ১২ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৯ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি এই ১২ জন আসামি উচ্চ আদালত জামিন পান। অভিযুক্ত তিন নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু নবীনগর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। একাধিকবার নবীনগর থানায় গিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারে অনুরোধও জানিয়েছেন তারা। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করার পর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য নবীনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও অজ্ঞাত কারণে নবীনগর থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর