× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাফুফে’র কাছে মাঠে ফুটবল ফেরানোটাই মুখ্য

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিল জানুয়ারিতে। ২৩শে জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু কাপের সেমিফাইনালে বুরুন্ডির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। করোনাভাইরাসের কারণে পেশাদার লীগ স্থগিত হয় মার্চে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ দিয়ে অক্টোবরে মাঠে ফেরার কথা ছিল জামাল-রানাদের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বাছাই পর্বও স্থগিত করে ফিফা। তাই নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ দলের হেড কোচ জেমি ডে। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের কাছে ফলাফলের চেয়ে মাঠে ফেরাটাই এখন মুখ্য ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত মার্চ থেকে দেশের অনেক খেলাই বন্ধ।
নিউ নরমাল সময়ে বিসিবি ক্রিকেট ফিরিয়েছে, তেমনি আরো কয়েকটি ফেডারেশন খেলা শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশে কোনো আন্তর্জাতিক খেলা হয়নি। সবার আগে আগামী ১৩ই ও ১৭ই নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দু’টি প্রীতি ম্যাচের জন্য নেপালের কাছে লিখিত সম্মতি পেয়েই ৩৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। গত আগস্টে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য ডাকা দলটিকেই ডাকা হয়েছে এই দুটি ম্যাচের জন্য। প্রাথমিক দল কাটছাঁট করে মূল দল গঠন করবেন হেড কোচ জেমি ডে। ২৮শে অক্টোবর তার ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। ডেনমার্কে অবস্থানরত জামাল ভূঁইয়া এবং ফিনল্যান্ড থেকে তারেক কাজীরও সেদিনই ঢাকায় আসার কথা। কোভিড-১৯ টেস্টের মধ্যদিয়ে আগামীকাল শুরু হবে জাতীয় দলের প্রস্তুতি। তবে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু হবে কোচ আসার পর। ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় এলেও কোয়ারেন্টিন শেষে ম্যাচের সপ্তাহ দু’য়েকের বেশি সময় পাবেন না জেমি ডে। এটা নিয়ে তার আক্ষেপ থাকলেও দ্রুত মাঠে ফেরাটাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন এই বৃটিশ কোচ। গতকাল  জাতীয় দল নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জেমি ডে বলেন, দলকে প্রস্তুত করতে দুই সপ্তাহ খুবই অল্প সময়। ম্যাচের আগে আমাদের কমপক্ষে আট সপ্তাহ প্রস্তুতির দরকার ছিল। কিন্তু যেহেতু ম্যাচের আগে সময় কম। তাই আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে। তবে এই ফিফা ফ্রেন্ডলির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে ফুটবল ফিরছে এটাই বড় বিষয়। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, নেপালও দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে ম্যাচ খেলবে, আমরাও তাই। সুতারং প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলার চেয়ে ফুটবল আয়োজনই এখন আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ম্যাচে বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে বাফুফের এই সহ-সভাপতি বলেন, ‘ফুটবল একার খেলা নয়, পুরো টিমের খেলা। আমরা জেতার জন্য খেলবো। তবে জয়ই মুখ্য নয়। এখানে ফুটবলকে মাঠে ফিরিয়ে আনাটাও বড় বিষয়।’ এবারও খেলোয়াড়দের আগে-পরে মিলিয়ে একাধিবার করোনা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। খেলোয়াড়দের যতদূর সম্ভব বিচ্ছিন্ন করে রাখারও (আইসোলেটেড) চিন্তা-ভাবনা আছে। কাজী নাবিল, ‘কোভিড টেস্ট করে ক্যাম্পে আসবে সবাই। কোথায় করাবে তা আমরা অনুমোদন করে দেবো। আসার পরে তারপরে আরো দুই-তিনবার পরীক্ষা হবে তাদের। যতটা পারা যায় আইসোলেটেড রাখতে হবে। নেপাল দলেরও একই অবস্থা হবে। এ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা আছে। সেখানে অনেক নির্দেশনা পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট সবাই সেখানে থাকবেন। তারা ভালো বুঝবেন। তখন বাস্তবায়ন করা যাবে সবকিছু।’ কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বে বেশিরভাগ জায়গায় ফুটবল ম্যাচ হচ্ছে দর্শক ছাড়াই। নেপালের সঙ্গে দু’টি ম্যাচে দর্শক-উপস্থিতি নিয়ে বাফুফের অন্যতম এই সহ-সভাপতি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে দেখতে পাচ্ছি খুব বেশি দর্শক থাকে না। আমরা এখানে স্বল্পসংখ্যক দর্শক রাখতে পারি। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হবে। সেটাই বাস্তবায়ন করবো। একেবারেই দর্শকশূন্য খেলা অন্যরকম লাগবে।’ ম্যাচ সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটের আলোতেও আয়োজিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কাজী নাবিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর