× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার / নোয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী ও চাটখিল প্রতিনিধি
২২ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

এবার নোয়াখালীতে দুই সন্তানের সামনে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান শরীফকে। ঘটনাটি ঘটেছে চাটখিল উপজেলার নয়াখলা ইউনিয়নের নয়াখলা গ্রামে। গতকাল ভোর ৫টায়  যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান শরীফ প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা থানায় হাজির হয়ে শরীফকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ইয়াছিন হাজীর বাজার থেকে দুপুরে মজিবুর রহমান শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, একই বাড়ির শরীফ ভোর ৫টার দিকে ওই প্রবাসীর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে তার ২ শিশু সন্তানের সামনে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তাকে ও তার সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
জানা যায়, নয়াখলা গ্রামের রফিক উল্যার ছেলে মজিবুর রহমান শরীফ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী। তার রয়েছে ক্যাডার বাহিনী। চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল মিয়া জানান, শরীফের বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্র, ছিনতাইসহ ৭টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
চাটখিল ৮ নং নয়াখলা ইউনিয়ন (পশ্চিম) যুবলীগের সভাপতি এই শরীফ। থানায় ধর্ষিতার দায়ের করা মামলা থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার ভোর ৫টায় সন্ত্রাসী শরিফ প্রবাসী নুর আলমের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঘরের ভেতরে প্রবাসীর স্ত্রীর শয়ন কক্ষে গিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে। পরে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার ২ শিশু সন্তান জেগে থাকলেও তাদের সামনেই ধর্ষণ করে। এ সময় শরিফ বাহিনীর কয়েকজন সশস্ত্র ক্যাডার ঘরের চারপাশে পাহারা দিচ্ছিল। তাদের ভয়ে বাড়ির লোকজন কেউ এগিয়ে আসেনি। শরিফের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজিসহ অনেক মামলা থাকলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাকে এতোদিন গ্রেপ্তার করেনি। ইতিপূর্বে বক্তারপুর গ্রামের হাজী বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে এক ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এ শরিফ। তার বিরুদ্ধে তখন থানায় ধর্ষণের অভিযোগ হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার পক্ষ নিয়ে চাটখিলে মানববন্ধন করে। এর পরই ওই ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। নয়াখলা ইউনিয়নসহ চাটখিল দক্ষিণাঞ্চলে শরিফ ও তার বাহিনীর সদস্যদের কাছে জিম্মি এলাকাবাসী। শরিফের নেতৃত্বে ফরহাদ ও হৃদয়ের নেতৃত্বে কয়েকটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল মিয়া মানবজমিনকে জানান, ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে শরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শরিফের সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর