× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আইএলওর প্রতিবেদন / অব্যাহতভাবে লড়াই করছে এশিয়ার গার্মেন্ট খাত

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ২২, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে জেগে উঠতে অব্যাহতভাবে লড়াই করছে এশিয়ার গার্মেন্ট খাত। বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের মতো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে তৈরি পোশাকের বড় উৎপাদনকারী দেশগুলোতে করোনা মহামারির আঘাত অব্যাহত রয়েছে। বুধবার এক রিপোর্টে এসব কথা বলেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও।
এতে বলা হয়, বৈশ্বিক চাহিদার পতন, অর্ডার বিলম্ব অথবা বাতিল এবং গার্মেন্ট রপ্তানি ধসের ফলে এসব দেশে এ খাতে বড় আঘাত লেগেছে। আইএলও আরো জোর দিয়ে বলেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আরেকটি ঢেউয়ের ঝুঁকি আছে। তেমনটা ঘটলে এই শিল্পের ওপর আরো ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। অনলাইন ইয়াহু ফাইন্যান্সে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ব্যাংককে এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলে আইএলও’র আঞ্চলিক অফিসের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান ভিজেলান বলেছেন, করোনা সংক্রমণের আগে যে পরিমাণ চাহিদা ছিল এই শিল্পের, বর্তমানে প্রকৃতপক্ষে ভোক্তাদের সেই চাহিদা আগের তুলনায় বেশির ভাগ দেশেই অনেক নিচে অবস্থান করছে।
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, যেসব দেশে কিছুটা শিথিল বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তার তুলনায়, যেসব দেশ সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, সেখানে বার্ষিক খুচরা বিক্রি বৃদ্ধি শতকরা হার ২৫ ভাগেরও কম।  
ক্রিশ্চিয়ান ভিজেলান বলেছেন, তারা ১০টি দেশের গার্মেন্ট খাতকে পরীক্ষা করে এমন ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পেয়েছেন। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি। এসব দেশে দীর্ঘদিনের অস্থায়ী ও স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এতে সরবরাহ চেইনে সমস্যা দেখা দেয়। এ অঞ্চলের ৬ কোটি ৫০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিকের মধ্যে কর্মীরা চাকরি  হারান।
আইএলও’র এই অর্থনীতিবিদ আরো বলেছেন, এশিয়া থেকে বেশ কিছু বড় দেশ তৈরি পোশাক আমদানি করে। কিন্তু ২০২০ সালের প্রথম অর্ধাংশে তাদের সেই চাহিদা আগের বছরের তুলনায় শতকরা ৭০ ভাগ কমে গেছে। আইএলও বলেছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক আমদানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা ২৬ ভাগ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে এই অবনমন শতকরা ২৫ ভাগ। জাপানে শতকরা ১৭ ভাগ। শুধু যে চাহিদা বা রপ্তানি কমে যাচ্ছে তাই-ই নয়। একই সঙ্গে শ্রমিকদের বেতন কমে যাওয়া একটি সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিশ্চিয়ান ভিজেলান।
রিপোর্টে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশকে টেনে নেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আইএলও’র বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামে বাংলাদেশের আড়াইশ গার্মেন্ট কারখানা অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে শতকরা ৩৮ ভাগ কারখানায় অর্ডার কমিয়ে দেয়া হয়েছে, না হয় শিপমেন্ট স্থগিত করতে বলা হয়েছে। শতকরা ৩৪ ভাগের অর্ডার বাতিল করতে বলা হয়েছে। কাঁচামালের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারেনি শতকরা ৪ ভাগ গার্মেন্ট।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে গেছে ৩৪৮টি গার্মেন্ট কারখানা। অন্যদিকে এ বছরের দ্বিতীয় চতুর্ভাগে কম্বোডিয়ায় শতকরা ১৫ থেকে ২৫ ভাগ কারখানায় কোনো অর্ডারই নেই। গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন ইন কম্বোডিয়ার সদস্য কোম্পানিগুলোর চার ভাগের মধ্যে এক ভাগেরও বেশি কারখানা জুলাই নাগাদ খোলেই নি।
আইএলও আরো বলেছে, করোনা মহামারি শুরুর আগে যে পরিমাণ শ্রমিক ব্যবহার করে বাংলাদেশে গার্মেন্ট উৎপাদন চলতো, এখন বাংলাদেশের শতকরা ৪৩ভাগ গার্মেন্ট সরবরাহকারী সেই কাজ করছেন শতকরা ৫০ ভাগেরও কম শ্রমিক দিয়ে।
ভিয়েতনাম টেক্সটাইল এন্ড এপারেল এসোসিয়েশনের মতে, সেখানে যেসব কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে জুলাই মাসে, তা চলছে শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ সক্ষমতা নিয়ে। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ এই শিল্পের ক্ষতি দাঁড়াবে ৮৫০ কোটি থেকে ১২০০ কোটি ডলার বলে তারা জানিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর