হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িত সকল দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক পিযুষ চক্রবর্তী, জেলা বাসদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জোনায়েদ আহমদ, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জাতীয় যুবজোটের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সরওয়ার জাহান লিটন, বাাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল, সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুখলেছুর রহমান, অ্যাডভোকেট রনধির দাশ, বাসদ নেতা শফিক আহমদ, বাসদ নেতা হুমায়ুন খান, খোয়াই থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নবগঠিত এ মেডিকেল কলেজের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে দুদকের মামলায় শুধুমাত্র কলেজের অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ানকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ২ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ক্রয় কমিটির সদস্য সচিব ও সদস্যদের মামলায় আসামি করা হয়নি। দুর্নীতি করেও তারা রহস্যজনক কারণে রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা বলেন, শুধু অধ্যক্ষ নয়, সকল দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নইলে তুমুল নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গেল বছর হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের বইপত্র ও মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০১৭- ২০১৮ অর্থ বছরে ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি নয়। বাকি টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। দাবি উঠে সরকার প্রধানের নামে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শান্তির আওতায় আনার। এ ঘটনা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তারা দুর্নীতির সত্যতা পায়। এছাড়া দুদক তদন্ত করে কলেজের অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ানসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলার আসামিরা জামিনে রয়েছেন।