× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুদ্ধাপরাধী কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা এবং তখনকার মুসলিম লীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কায়সারের এ পরোয়ানা জারি করেন।
যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমদ জানান, সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি তারা হাতে পান। নিয়ম অনুযায়ী, গতকাল ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে। সেই পরোয়ানা কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুলিপি দেয়া হয়েছে। লালশালু কাপড়ে মোড়ানো সেই মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছানোর পর কারা কর্তৃপক্ষ আসামি সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে তা পড়ে শোনাবেন। কায়সারের আইনজীবী তানভীর আহমেদ আলামিন সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পেলে তারা রিভিউ আবেদন করবেন।
রিভিউ পিটিশন করার জন্য আমার মক্কেল আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার জন্য দরখাস্ত করা আছে। হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই পেয়ে যাব।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার এখন ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন  না করলে যেকোনো দিন রায় কার্যকর হতে পারে। রিভিউ আবেদন খারিজ হলেও অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন  সৈয়দ কায়সার। তিনি যদি প্রাণভিক্ষা না চান এবং চেয়েও যদি ক্ষমা না পান, তাহলে রায় কার্যকরের ক্ষণগণনা শুরু হবে। রায় কার্যকরের আগে তিনি শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
২০১৩ সালের ১৫ই মে ট্রাইব্যুনাল কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় মুসলিম লীগের এই সাবেক নেতাকে। বয়স ও স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি বিবেচনায় ট্রাইব্যুনালে তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়। যুদ্ধাপরাধের ১৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে পরের বছর ২রা ফেব্রুয়ারি সৈয়দ কায়সারের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। সেই বিচার শেষে ২০১৪ সলের ২৩শে ডিসেম্বর তার মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে। সেই রায়ের পর একাত্তরের এই যুদ্ধাপরাধীকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন। কিন্তু চলতি বছরের ১৪ই জানুয়ারি সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়েও তার ফাঁসির রায় বহাল থাকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর