× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলু কিনতে দীর্ঘ লাইন

প্রথম পাতা

আলতাফ হোসাইন
২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার

পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমানো হলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। এখনো আগের দামেই আলু বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পাইকারি ৩০ টাকায় কিনে ৩৫ টাকা বিক্রি করলে মুনাফা হচ্ছে না। বরং লসে পড়ার আশঙ্কা তাদের। কারণ হিসেবে তাদের দাবি, পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে আলু নিয়ে আসতে যা খরচ হয় তাতে সরকার নির্ধারিত দরে আলু বিক্রি করলে লসের মধ্যে পড়তে হবে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বেশি মুনাফা লাভের আশায় তারা এই অজুহাতে আলুর দাম বেশি রাখছেন। ওদিকে খুচরা বাজারে দাম না কমায় টিসিবির ট্রাক থেকে ২৫ টাকা দরে আলু কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের আলু কিনতে দেখা গেছে।


রাজধানীর আড়তগুলোতে সরকারের নির্ধারণ করা ৩০ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও এখনো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কাওরান বাজারে পাইকারিতে ৩০ টাকা আর খুচরা বাজারে ১৮০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) অর্থাৎ ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শান্তিনগর বাজার, মালিবাগ, মগবাজারসহ খুচরা বাজারে মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। দাম না কমায় বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির ট্রাকসেলে ভিড় করছেন। গতকাল রাজধানীর শান্তিনগর, প্রেস ক্লাবের সামনে, খামারবাড়ি মোড়সহ কয়েকটি পয়েন্টে ২৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করেছে সরকারি টিসিবি। খামারবাড়ি মোড়ে গতকালের মতো সকাল থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আলু, পিয়াজসহ অন্যান্য পণ্যও এখান থেকে কিনেছেন। বৃষ্টিতে ভিজে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কুলসুম। তিনি বলেন, বাজারে আলু পিয়াজের দাম বেশি তাই এখান থেকে কিনছি। একটু কষ্ট হলেও একটু কম দামে তো কিনতে পারবো। কেজিতে ১০ টাকা কমে পাওয়া গেলে দুই কেজিতে আমার ২০ টাকা বাঁচলো। এটা আমগো মতো গরিবের জন্য অনেক।

গত বুধবার টিসিবি আলু বিক্রি শুরু করলেও এদিন অনেকে আলু না পেয়ে ফিরে গেছেন। তবে পরের দিন ভিড় ছিল বেশি। আগের দিন আলু না পেয়ে অনেকে ফিরে যাওয়ায় গতকাল আলুর পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। খামারবাড়ি মোড়ের ডিলার জানান, শুধু আলু নয় আমরা পিয়াজ ও চালসহ অন্যান্য পণ্যও বিক্রি করছি। তবে আলু ও পিয়াজের দাম বাড়ায় স্বল্প আয়ের মানুষেরা ট্রাকসেলে বেশি ভিড় করছে। এ ছাড়া রাজধানীর তোপখানা, শান্তিনগরসহ কয়েকটি এলাকায় আলু বিক্রি করেছে টিসিবি।

বাজারে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি ৩০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এতে ব্যবসায়ীদের আপত্তি ও দাম না কমানোয় দ্বিতীয় দফায় গত মঙ্গলবার আলুর দাম আরো ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে টিসিবি কর্তৃক ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রির কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এদিকে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে বলেন, আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকায় আসবে। তিনি বলেন, আলুর দাম কোল্ড স্টোরেজে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ছিল। সেটা আজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেটা ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আমরা খুব আশাবাদী শিগগিরই নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হবে। আলুর বাজারদর এখনো অস্থির, সে বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আলুর দাম কমানোর চেষ্টা চলছে। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। এটা কৃষি মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা ইচ্ছে করেই এসেছি যে টিসিবির মাধ্যমে ২৫ টাকা দরে বাজারে আলু ছেড়ে ভোক্তাদের সহযোগিতার জন্য। কৃষি মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দামের বিষয়ে। গতকাল দাম কোল্ড স্টোরেজে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ছিল। সেটা আজ ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেটা ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আমরা খুব আশাবাদী আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম ৩৫ টাকায় চলে আসবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর