অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৭৩৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইউজিসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। তদন্তে ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যদের বিরুদ্ধে ২৫টি অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এরমধ্যে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণে প্রেসিডেন্টকে অসত্য তথ্য প্রদান, শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভিসি শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা শিথিল করে নিজের মেয়ে এবং জামাতাকে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ৩৪ জন অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ১৮ মাস ধরে নানা অযুহাতে দখলে রাখেন। ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া বাবদ ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।
কমিটিতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে সদস্য করা হয়।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনে উন্মুক্ত শুনানির আয়োজন করে।