× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাঙ্গাবালীতে স্পিডবোট ডুবি নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার

দেশ বিদেশ

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৫ অক্টোবর ২০২০, রবিবার

আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর শনিবার ভোরে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পর্যায়ক্রমে লাশ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা। নিহতদের লাশ বর্তমানে কোড়ালীয়া লঞ্চঘাটে রয়েছে। লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. মহিবুল হক (৫৭), বাহেরচর শাখা কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), আশা ব্যাংকের খালগোড়া শাখার লোন অফিসার কবির হোসেন (৩১), এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক মো. হাসান মিয়া (৩০) ও মো. ইমরান (৩২)।  নিহত মহিবুল হক বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইন গ্রামের মৃত রহমান হকের ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুল সালাম হাওলাদারের ছেলে, কবির হোসেন বাউফল উপজেলার আজিজ সিকদারের ছেলে, হাসান মিয়া পটুয়াখালী সদরের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের ছেলে ও মো. ইমরান বাউফল উপজেলার জয়গোড়া গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় আগুনমুখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকালে নদী বন্দরে ২ নং ও সমুদ্র বন্দরে ৩ নং সতর্ক সংকেত জারি ছিল। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার মধ্যে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পিডবোটটি কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোট উল্টে গেলে যাত্রীরা নদীতে পড়ে যায়। এ সময় সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বাকি ৫ জন নিখোঁজ রয়ে যায়। পরে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর আগুনমুখা নদীর কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। একজনের লাশ কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। বাকি ৪ জনের লাশ স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী আহম্মেদ জানান, নিহত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। যেহেতু পানিতে ডুবে মারা গেছে, সেহেতু আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিপডবোট চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর