× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্ক কি ধর্ষণ?

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ২৫, ২০২০, রবিবার, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

দেশে রীতিমতো ধর্ষণের মহামারি চলছে। বাদ-প্রতিবাদ, আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি কোনো কিছুতেই থামছে না এই মহামারি। তবে এর মধ্যে একটি পুরনো বিষয় নিয়েও নতুন করে নানা আলোচনা চলছে। বিয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্কি কি ধর্ষণ?

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ৯(১)-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘‘যদি কোন পুরুষ বিবাহবন্ধন ব্যতীত [ষোল বছরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করে, অথবা [ষোল বছরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলে গণ্য হবেন৷’’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ ব্যাপারে জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ধর্ষণে যে জোরপূর্বক বা বলপ্রয়োগের বিষয় থাকে তা এখানে অনুপস্থিত৷ প্রেমের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যখন শারীরিক সম্পর্ক হয় তখন সেটা ধর্ষণ নয়৷ কিন্তু পরে যখন বিয়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয় না তখন ধর্ষণ মামলা করা হয়৷ আমার বিচেনায় এটা প্রতারণা৷ আমার মনে হয় আইনে এটার ব্যাখ্যা এবং আলাদা শাস্তির বিধান থাকা উচিত৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় আদালতের রায়েও এটা পরিস্কার করা হয়েছে৷ সেখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে প্রেমের সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মতিতে দৈহিক মিলন হলে সেটা ধর্ষণ হবে না৷ আমাদের এখানেও আশা করি কোনো মামলায় আদালত এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন বা আইনের সংশোধন হবে৷’’

মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ‘‘প্রেমের সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মতিতে দৈহিক মিলনের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি বড় ধরনের প্রতারণা৷ তবে আমার বিবেচনায় এটা ধর্ষণ নয়৷ বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে এই ধরনের প্রতারণার বিচার ও শাস্তির বিধান আছে৷ কিন্তু যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এটা ধর্ষণ তাই দণ্ডবিধির ওই ধারায় কেউ মামলা করেন না৷ সরাসরি ধর্ষণ মামলা করেন৷’’

দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীকে প্রতারণামূলকভাবে আইনসম্মত বিবাহিত বলে বিশ্বাস করান, কিন্তু আদৌ ওই বিয়ে আইনসম্মতভাবে না হয় এবং ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে অপরাধী সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে৷ আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, এই আইনটি মামলা দায়ের বা চার্জশিটের সময় বিবেচনা করা যায়৷
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর