× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাবুনগরীকে হেফাজতের আমির করার প্রস্তাব

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ২৫, ২০২০, রবিবার, ৭:৪২ পূর্বাহ্ন

হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে হেফাজতের আমির করার প্রস্তাব করেছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ফটিকছড়ির নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার উদ্ভূত সংকট নিরসনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় জুনায়েদ বাবুনগরীর ভুঁয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী জামায়াত শিবির করেন না। বাবুনগরী জামায়াতের বিরুদ্ধে বই লিখেছেন। তিনি ও তাঁর মামা মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী জামায়াতের বিদ্বেষী। তিনি বলেন, সরকারের কাছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য একটি পক্ষ জুনায়েদ বাবুনগরীকে জামায়াত-শিবির তকমা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে। বাবুনগরীকে সরকারের পাশ থেকে দূরে সরানোর জন্যই এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি জানি কে জামায়াতের, আর কে জামায়াতের নয়।
তিনি আরো বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরীর নির্দেশনায় আমি এ মাদ্রাসায় এসেছি।
তাছাড়া আমি ফটিকছড়ির সাংসদ। এখানে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারবে না। আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি শনিবার যারা মাদ্রাসায় হামলা করেছে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য।
এর আগে গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) ফটিকছড়ির নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় ছাত্রদের দুটি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ফটিকছড়ির সাংসদ ও দৌলতপুর বাবুনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাদ্রাসায় এসে শূরার মিটিং দুই দিন এগিয়ে এনে সোমবার (২৬ অক্টোবর) করার ঘোষণা দেন। কিন্তু রবিবার সংবাদ সম্মেলন থেকে সেটি পরিবর্তন করে বুধবার (২৮ অক্টোবর) হওয়ার ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, বুধবার (২৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য শূরা কমিটির বৈঠক এবং মাদ্রাসার পরিচালক পদ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মুহতামিম দাবিদার মাওলানা সলিমুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে। এ সময় ছাত্রদের একাংশ মাওলানা সলিমুল্লাহকে মুহতামিম মানি না, শূরা চাই, শূরা চাই বলে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে ছাত্রদের একটি অংশ স্লোগানধারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে উভয়পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত, মাদ্রাসার পরিচালক বা মুহতামিমের পদ নিয়ে মাওলানা সলিমুল্লাহ ও মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সলিমউল্লাহকে মুহতামিম নিয়োগ দেন মরহুম আহমদ শফি। অন্যদিকে হাবিবুর রহমান হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারী। সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, মাওলানা হাবিবুর রহমান হাসেমী উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর