× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাগুরায় জমে উঠেছে সুপারির হাট

বাংলারজমিন

মাগুরা প্রতিনিধি
২৭ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার

মাগুরায় সুপারির হাট জমে উঠেছে। জেলার মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর বাজারে সপ্তাহের প্রতি হাটে বসে এ সুপারির মেলা। সুপারির ব্যাপারীরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে গাছ থেকে সংগ্রহ করে সুপারি। ব্যাপারীরা গ্রামের সুপারি গাছের মালিকের নিকট থেকে সংগ্রহ করে তা হাটে নিয়ে আসে।
সুপারির ব্যাপারী নির্মল ও আরব আলী জানান, কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত সুপারির মৌসুম। এ তিন মাসে ব্যাপারীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে সুপারি সংগ্রহ করে। তারপর হাটে নিয়ে আসে। ২২০ পিস সুপারি এক কুড়ি হিসেবে ৫শ’ থেকে ৫৫০ টাকা পাইকারি বিক্রি হয়।
বিভিন্ন স্থান থেকে মহাজনরা হাটে এসে তা সংগ্রহ করে। পরে খুচরা বাজারে এ সুপারি ৬শ’ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এলাকার সুপারির মান ভালো হওয়াতে এখানকার ব্যাপারীরা পার্শ¦বর্তী জেলা ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, ফরিদপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করে।
সুপারি কিনতে আসা ফরিদপুরের আকিনুল জানান, আমি ৮-১০ বছর এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমি মাসে একবার এ হাটে এসে সুপারি কেনাকাটা করি। এখানকার ব্যাপারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভালো মানের সুপারি ক্রয় করি। একটু বড় ও বেশি হলুদ রঙের সুপারি আমাদের জেলায় ভালো চলে। প্রতিবছর আমি দু’বার সুপারির কেনাকাটা করি আর তা দিয়ে সারা বছর ব্যবসা করি। এক থেকে দু’লক্ষ টাকা পুঁজি খাটিয়ে আমি লাভ করি ৩ লক্ষ টাকার অধিক। আমি সুপারি কিনে তা ছোট ছোট করে কেটে শুকিয়ে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করি। কাঁচা সুপারির চেয়ে আবার শুকনো সুপারিতে লাভ বেশি। শুকনো সুপারি তৈরি করতে আমার শ্রমিক বাবদ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা খরচ হয়। পানের দোকানে শুকনো সুপারির চাহিদা বেশি থাকায় আমি তা সরবরাহ করি।
রাজাপুরের ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ বাজারে সুপারির হাট বসে। এ এলাকার সুপারির মান ভালো হওয়াতে মাগুরাসহ জেলার বাইরের সুপারির ব্যাপারীরা এখানে এসে সুপারি পাইকারি ক্রয় করে বিক্রি করে। হাটের জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে এ ব্যবসা করতে অনেক ব্যাপারীর বেচা-বিক্রি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাপারীদের প্রয়োজনীয়ও পৃষ্ঠষোকতা থাকলে তারা অনেক দূর অগ্রসর হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর