নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাঠে মাঠে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। সোনা মাখা ধানের শীষের সমারোহ বলে দিচ্ছে নবান্ন আসছে। এখন আমন মৌসুমের শেষ মুহূর্ত। চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় আগাম ধান গোল্ডেন আতব, ব্রি-ধান-৭১, ব্রি-ধান-৭৫, বি-আর-২৬ জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। উপজেলার সুজাইল গ্রামের কৃষক নাজমুল ইসলাম লিটন ও মাদিশহর গ্রামের অখিল চন্দ্র গোল্ডেন আতব ধান, মহিনগর গ্রামের কৃষক আয়েন উদ্দীন ও ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক ব্রি-ধান-৭৫, ইন্দায় গ্রামের সঞ্জয় কুমার বিআর-২৬ ও শেরপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান ব্রি-ধান-৭৫ চাষ করেছেন। এসব ধান কেটে ঐ জমিতেই আলু, সরিষাসহ নানা রবি শষ্য চাষ করবেন। এনায়েতপুর ইউপি’র উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মমিন জানান, গোল্ডেন আতব বিঘা প্রতি ১৪/১৫ মণ ও ব্রি-ধান-৭১, ব্রি-ধান-৭৫, বি-আর-২৬ ধান বিঘা প্রতি ১৬/১৮ মণ হারে ফলন হচ্ছে। গত শনিবার মহাদেবপুর হাটে গোল্ডেন আতব ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা ও অন্য জাতের ধান ৮০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা দামে বিক্রয় করেছেন কৃষকরা।
ধানের দাম ও ফলন ভালো পেয়ে কৃষকরা বেজায় খুশি। মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় জানান, এ বছর চলতি আমন মৌসুমে মহাদেবপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে সর্বমোট ২৮ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছে কৃষকরা। এরমধ্যে আগাম ধান গোল্ডেন আতব, ব্রি-ধান-৭১, ব্রি-ধান-৭৫ ও বি-আর-২৬ জাতের ধান ১৬০ হেক্টরসহ মোট- ১৭ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে উপশী জাত ও বাকি ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে দেশীয় চিনি আতব জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না দেখা দিলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন উপজেলা কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায়।