× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দোহারে খাল দখল করে ভবন নির্মাণ

বাংলারজমিন

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
২৭ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার

ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্র্তী খাল দখল করে পুনরায় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়া এলাকায় খাল দখল করে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও ২০১৮ সালের ৮ই জুন দোহার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়া এলাকায় খাল দখল করে নির্মাণাধীন ওই বাড়ি ভেঙে দেয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে সোমবার গিয়ে জানা গেছে, জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পার্শ্ববর্তী খালের একপাড় অবৈধভাবে দখল করে ভবন নির্মাণ করেছে স্থানীয় শাহিন নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে খালটি সুরু হয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ির নেম প্লেটে দেখা যায়, করদাতা হিসেবে উত্তর জয়পাড়া চৌধুরীপাড়ার জনি শিকদারের নাম রয়েছে। কিন্তু জনি শিকদারের দাবি ভবনটি তিনি নির্মাণ করেনি। শাহিন শিকদার ভবনটি নির্মাণ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এরআগে ২০১৮ সালের জুন মাসে ভবনটি ভেঙে দিয়েছিল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে কিছুদিন পর আবারো ভবনটি সংস্কার করেন শাহিন শিকদার। এরপর আর কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত দখলকারী শাহীন বলেন, বাড়িটি মালিক জনি শিকদার। আমরা থাকি। তবে ভবন নিজস্ব জমিতে করা হয়েছে। সরকারি খাল দখল করেনি। এসময় তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে এব্যাপারে কথা বলতে বলেন। এ ব্যাপারে জনি শিকদার বলেন, সরকারি জায়গায় ভবনটি শাহিন শিকদার কিভাবে নির্মাণ করেছে তা আমার জানা নেই। আমি সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ঐ ভবনটি আমার নয়। ভবনের নেম প্লেটে তার নাম দেয়ার কারণ জানতে চাইলে জনি শিকদার বলেন, ওরা কেন নাম দিয়েছে ওরাই বলতে পারবে। তবে সেখানে একসময় আমাদের জমি ছিল যা বর্তমান খাস হয়ে গেছে। সেই জন্যও নাম দিতে পারে। কিন্তু ভবনটি আমি নির্মাণ করেনি। দোহার পৌর প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, ভবনটি সরকারি খালের উপর করা হয়েছিল। যার কারনে এরআগে আমরা ভেঙে দিয়েছিলাম। খাস জমির উপর ভবন নির্মাণের সাথে হোল্ডিং ট্যাক্সের কোন সম্পর্ক নেই। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ মানবজমিনকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ভূমি অফিসকে নির্দেশনা দিব যদি এটি খালের মধ্যে হয় তাহলে অতি দ্রুত এটি উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর