করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। সংক্রমণ শুরুর ২৩৩ দিনের মাথায় করোনা শনাক্ত সরকারি হিসাবে ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২১শে সেপ্টেম্বর শনাক্তের ১৯৮ দিনের মাথায় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬২১ জন। এই সংখ্যা থেকে ৪ লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছে ৩৫ দিন। সংক্রমণ শুরুর ১৭২ দিনের (২৬শে আগস্ট) মাথায় এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২ হাজার ১৪৭ জন। সাড়ে ৩ লাখ হতে সময় লেগেছে ২৬ দিন।
শনাক্তের ১৫৩ দিনের মাথায় ছিল এই সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০২ জন। ৩ লাখ হতে সময় লেগেছে ১৯ দিন। ১৩৩ দিনের মাথায় (১৮ই জুলাই) শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২ হাজার ৬৬ জন। এ সংখ্যা থেকে আড়াই লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ২০ দিন। দেড় লাখ থেকে ২ লাখ হতে সময় লেগেছে ১৬ দিন। ১১৭ দিনের মাথায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন। শনাক্ত ১ লাখ থেকে দেড় লাখ হতে সময় লেগেছিল ১৪ দিন। ১০৩ দিনের মাথায় দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জন। প্রকোপ শুরুর পর প্রথম ৫০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮৭ দিনের মাথায়। এরপর তা ১ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ দিন। গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায় ১৮ই মার্চ।
এদিকে, গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৬ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ লাখ ২৫১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৮১৮ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন। এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৬৬টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৫৮টি। এ পর্যন্ত মোট ২২ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। এ পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ৪৮০ জন এবং নারী ১ হাজার ৩৩৮ জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৬০ বছরের উপরে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ জন এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ১ জন করে রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন এবং বাসায় ১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১০৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৪৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৬৭ জন। এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৭৩ হাজার ২৮০ জন। মোট আইসোলেশন করা হয়েছে ৮৫ হাজার ৩২৫ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৬৪২ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৭৬৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ৩৭৩ জন। মোট কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৩ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯ হাজার ৬১০ জন।