× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রংপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ৪

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৮ অক্টোবর ২০২০, বুধবার

 রংপুরে পুলিশের এএসআইয়ের নেতৃত্বে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার দায়িত্ব পাওয়ার ৫ ঘণ্টার মধ্যে পিবিআই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো ২ জনকে লালমনিরহাট সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জন হলেন, ধর্ষণের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা বাড়ির ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগম ওরফে সুমাইয়া আক্তার মেঘলা (২৫), তার সহযোগী সুরভি আক্তার সমাপ্তি (২৬), ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন (৪০) ও আবুল কালাম আজাদ (৪২)। রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবিতে কর্মরত অভিযুক্ত এএসআই রায়হানুল ইসলাম বরখাস্ত হয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার না দেখানোয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ঘটনায় বহিরাগত আসামিদের শনাক্ত করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। দায়িত্ব পাওয়ার ৫ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা লালমনিরহাট সদর থেকে বাবুল ও আজাদকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মাধ্যমে গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনকে শনাক্ত করা গেছে।
এছাড়া মেঘলা ও সমাপ্তিও তাদের শনাক্ত করেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে মেঘলা ও সমাপ্তি একসঙ্গে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। তারাই গ্রেপ্তার হওয়ায় ব্যক্তিদের ডেকে এনেছিলেন। এ মামলায় এখনো অভিযুক্ত এসএসআই রায়হানুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। সে মেট্রো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তার পালানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা ভিকটিমের জবানবন্দি, ডিএনও টেস্ট রিপোর্টসহ আদালতে হাজির করা মেঘলা ও সমাপ্তির জবানবন্দিসহ পুরো প্রস্তুতি নিয়ে রায়হানুলের কাছে যাবো। এছাড়া আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে যা তদন্তের স্বার্থে এখন বলছি না।
এদিকে গতকাল দুপুরে মেঘলা ও সমাপ্তিকে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয় পিবিআই। বিজ্ঞ বিচারকের সামনে জবানবন্দির জন্য বিকাল পর্যন্ত আদালতের জেলহাজতে তাদের রাখা হয়। ওদিকে পুলিশের এএসআইয়ের নেতৃত্বে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মানববন্ধন সমাবেশ করেছে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রংপুর জেলা শাখা। প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক সাজু রায়, জেলা সভাপতি জুগেশ ত্রিপুরা,সহ-সভাপতি প্রল্লাদ রায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, রংপুর ইউনিট সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী), রংপুর জেলার সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সংগঠক গোলাপী বেগমসহ অন্যরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সব প্রান্তে নারী শিশু নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। এসব নারী নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ। এই পুলিশদের দ্বারাই আবার নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে, কোথাও পুলিশ ধর্ষক, নিপীড়কের সহযোগী। রংপুরের ঘটনার পর ধর্ষিতার পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। আমরা উচ্চতর প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে ধর্ষিতার পরিবারকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হোক। সেই সঙ্গে ধর্ষক এএসআই রায়হানুল ও তার সহযোগীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর