× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা, বাইডেন এগিয়ে তবে নিশ্চিত নন, ফল নির্ধারণ কোর্টে?

অনলাইন

তারিক চয়ন
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ২৮, ২০২০, বুধবার, ৪:১২ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর যখন মাত্র এক সপ্তাহ বাকি সেই মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পাল্টা প্রতিবাদকারীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার খবর আসছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার ম্যানহাটনে সংঘর্ষের সময় এগারো জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে 'ট্রাম্পের জন্য ইহুদি'রা ব্যানারে একটি দলের অর্থাৎ ট্রাম্পপন্থী গাড়িবহরকে বিক্ষোভকারীরা আক্রমণের লক্ষ্য বানালে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত আইনজীবী এবং নিউইয়র্কের প্রাক্তন মেয়র রুডল্ফ ডাব্লু জুলিয়ানি বিক্ষোভকারীদের প্রতিরোধ করতে চেয়েছিলেন।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, এক ব্যক্তি ছাড়া বাকি সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি দুই পুলিশ কর্মকর্তার মুখে ডিম ছুঁড়ে মেরেছিলেন।

ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে বলা হয়, সোমবার রাতে ফিলাডেলফিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে পুলিশ এক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করার পর রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি ছুরি হাতে সশস্ত্র ছিলেন। এনবিসি সম্প্রচার মাধ্যম জানায়, ফিলাডেলফিয়ার একটি থানার বাইরে সোমবারের বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠলে এক পর্যায়ে চার পুলিশ কর্মকর্তাকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয় এবং তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। বলা হচ্ছে, জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গড়ে উঠা মাসের পর মাসব্যাপী চলমান বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে সর্বশেষ সহিংসতার উদাহরণ ফিলাডেলফিয়ার এই ঘটনা।

উল্লেখ্য, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে শেতাঙ্গ পুলিশের নির্মম নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তোলপাড় চলার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপীও নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা দোষ দিচ্ছেন ট্রাম্পকেই।
এবারের নির্বাচনে 'জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড' প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক সচেতন মহল। কারণ এই নির্বাচনকে 'উগ্র শ্বেতাঙ্গ' ট্রাম্পপন্থীদের আক্রমণ থেকে বাঁচার এবং নিজেদের যুক্তরাষ্ট্রে টিকে থাকার লড়াই এর বড় সুযোগ বলে মনে করছেন বেশিরভাগ কৃষ্ণাঙ্গ।

এদিকে ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের মনোনয়ন দেয়া বিচারপতি অ্যামি কোনে ব্যারেটের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে সেনেট, যাকে নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে ট্রাম্পের বিজয় হিসেবে দেখছেন অনেকেই। ৫২-৪৮ ভোটে রিপাবলিকানরা এই নতুন বিচারপতি নিয়োগ নিশ্চিত করেন যার ফল হিসেবে সামনের দিনগুলোতে সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীল তথা রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হবে। নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটরা এই নিয়োগ দিতে বিরোধিতা করলেও ঠেকাতে পারেন নি।

প্রসঙ্গত, গত মাসে ফেডারেল আপিল বিভাগের বিচারক রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গ মারা গেলে বিচারপতিদের একটি পদ শূন্য হয়। অ্যামি কোনে ব্যারেটের নিয়োগ ট্রাম্পের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায়, পেনসিলভ্যানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ফিরেই ব্যারেটের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন ট্রাম্প। হেরে গেলেও ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার স্পষ্ট অঙ্গীকার কখনো করেননি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। এবার ব্যারেটের নিয়োগে আদালতে ট্রাম্পের অবস্থানও মজবুত হলো।

তাছাড়া করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যবারের চেয়ে এবার পোস্টাল ভোট (মেইলের মাধ্যমে) দেয়ার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। কমপক্ষে ০৭ কোটি ভোটার ইতিমধ্যেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন যার দুই-তৃতীয়াংশই পোস্টাল ভোট। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পোস্টাল ভোট গণনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। সব পোস্টাল ভোট যে নির্বাচনের দিন রাতের মধ্যেই গণনা হয়ে যাবে তা নয়। সুতরাং ০৩রা নভেম্বর নির্বাচনের তারিখ হলেও ফল পেতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

সবমিলিয়ে অনেকেই ধারণা করছেন এবারের নির্বাচনের ফল নির্ধারিত হবে আদালতে। তাই প্রায় সবগুলো জনমত জরিপে জো বাইডেন এগিয়ে থাকলেও এমনকি ভোট বেশি পেলেও নিশ্চিত করে কেউ-ই বলতে পারছেন না যে শেষ হাসি কে হাসবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর