নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কুজাইল-আতাইকুলা সংযোগ স্থানে ছোট যমুনা নদী পারাপারে যুগ যুগ ধরে নৌকাই একমাত্র ভরসা। উপজেলার মিরাট, গোনা ও কাশিমপুর ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ছোট যমুনা নদী পারাপার হওয়ার জন্য বর্ষা মৌসুমে ইজারাদারের দড়ি টানা নৌকাই একমাত্র বাহন।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, ছোট যমুনা নদীর দুই পাশে কাশিমপুর, গোনা ও মিরাট ইউনিয়নের সর্বরামপুর, কাশিমপুর, ডাঙ্গাপাড়া, এনায়েতপুর, মঙ্গলপাড়া, ভবানীপুর, পীরেরা, বয়না, বেতগাড়ী, দুর্গাপুর, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি, আতাইকুলা, কনৌজ, হামিদপুর, জালালগঞ্জসহ প্রায় শতাধিক গ্রাম অবস্থিত। এসব অঞ্চলের মানুষদের রাণীনগর উপজেলা, নওগাঁ জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য এই নৌকা করে ছোট যমুনা নদী পার হতে হয়। নৌকা পারাপারে সময় লাগে অনেক। একটি ব্রিজের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয় শিক্ষার্থীসহ এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে। কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু যুগের পর যুগ চলে গেলেও এখনো সেই দাবি অপূর্ণই রয়ে গেছে।
এলাকার মাওলানা সহিদুল ইসলাম বলেন, একটি ব্রিজের অভাবে আমাদের স্কুল-কলেজে ও হাটবাজারে যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহনে নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে, অথচ দেখার কেউ নেই।
আতাইকুলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মহসিন আলী, গোলাপসহ অনেকেই বলেন, কুজাইল-আতাইকুলা খেয়া পারাপার ঘাটে প্রতিদিন যে পরিমাণে লোকজনকে পারাপার হতে হয় তাতে একটি ব্রিজ খুবই জরুরি।
পারাপারের সময় একাধিকবার নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটেছে। ছোট ছেলেমেয়েরা এই নৌকা থেকে নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কৃষকরা ইচ্ছে করলেই তাদের পণ্যগুলো সহজেই বাজারজাত করতে পারেন না।
মিরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, কুজাইল-আতাইকুলা জনগুরুত্বপূর্ণ এই খেয়াঘাটে একটি ব্রিজের দাবিতে আমরা একাধিকবার সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির একাধিকবার দ্বারস্থ হয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহিদুল হক বলেন, কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করে মাপজোক ও ডিজাইন করে একটি প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ করতে পারবো।