চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল সকালে। শূরা সদস্যদের প্রত্যক্ষ মতামতের ভিত্তিতে মাদ্রাসার নায়েবে মোহতামিম মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীকে পূর্ণাঙ্গ মোহতামিম ও স্বঘোষিত মোহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহসহ ১৩ শিক্ষক-কর্মচারীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে মোতোয়ালি নিযুক্ত করা হয়। মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত শূরা সদস্যদের বৈঠক দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। বৈঠককে কেন্দ্র করে নাজিরহাট বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হয় বিপুল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, হাফেজ কাসেম, আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদিসহ মোট ১৫ শূরা সদস্যের ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, শূরা সদস্যদের মধ্যে মাওলানা আব্দুল্লাহ (চারিয়া মাদ্রাসা) বিদেশে থাকায় এবং মাওলানা শেখ আহমদ শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি। বৈঠকে মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীকে মোহতামিম ঘোষণা ছাড়াও মাওলানা ইয়াহিয়া ও হাফেজ মো. ইসমাইলকে নায়েবে মোহতামিম করার কথা জানানো হয়। এছাড়া নতুন শিক্ষাসচিব হিসেবে মাওলানা- হাবিবুল্লাহ নদভীর নাম ঘোষণা করা হয়।
এদিকে বৈঠকে মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার দায়ে মাওলানা সলিমুল্লাহ ও তার সহযোগী ১৩ শিক্ষক-কর্মচারীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৭শে মে মাদ্রাসার মুহতামিম শাহ মুহাম্মদ ইদ্রিস ইন্তেকাল করলে সহকারী পরিচালক মুফতি হাবিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিমের দায়িত্ব দেয় শূরা কমিটি। পরবর্তীতে মাদ্রাসার শূরা সদস্য হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার প্রয়াত পরিচালক আল্লামা আহমদ শফী মুহতামিম ঘোষণা করেছে দাবি করে মাদ্রাসায় নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা কারণে সমালোচিত মাওলানা সলিমুল্লাহ। যার ফলে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা জুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে।