× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চরফ্যাশনে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ!

বাংলারজমিন

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

চরফ্যাশন হাসপাতাল রোডস্থ প্রাইভেট ক্লিনিক সিটি হার্ট হাসপাতালের প্রসূতি ও গাইনি চিকিৎসক ডা. মরিয়ম আক্তার (সনিয়া)’র দায়িত্ব অবহেলায় এক প্রসূতির গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রসূতিকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করলেও দীর্ঘ সময় গড়িমসির পর বিকাল ৫টায় তার ডেলিভারি হবে না বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসক। অবশেষে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় নিরুপায় স্বজনরা প্রসূতিকে চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৮টায় প্রসূতির গর্ভ থেকে মৃত নবজাতক সন্তানকে টেনে বের করেন নার্সরা। সোমবার রাতে চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতি উম্মে কুলসুম এবং তার স্বামী জামাল উদ্দিন বেল্লাল সংবাদকর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন। এদিকে ঘটনার পরই প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগে চরফ্যাশন থানা পুলিশ ঘটনা তদন্ত করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রসূতি উম্মে কুলসুম এবং তার স্বজনরা জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় দক্ষিণ আইচা পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ফরিদা পারভীনের নির্দেশে প্রসূতি উম্মে কুলসুমকে স্বজনরা সিটি হার্ট হাসপাতালে ভর্তি করান। এসময় হাসপাতালের প্রসূতি ও গাইনি চিকিৎসক ডা. মরিয়ম আক্তার তাকে আল্ট্রা করান এবং নবজাতক ভালো আছে জানিয়ে স্বাভাবিক ডেলিভারি হবে বলে জানান। এসময় তিনি নবজাতকের পজেশন দেখতে গিয়ে পানির পাতি ভেঙে ফেলেন।
প্রসূতি বিষয়টি টের পেয়ে এর প্রতিবাদ করেন। এতে চিকিৎসক মরিয়ম আক্তার ক্ষুব্ধ হন এবং ওই নারীর প্রসব করাবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ সময় ভুক্তভোগী ওই নারী ডা. মরিয়ম আক্তারের নিকট ক্ষমা চেয়ে তাকে ডেলিভারি করাতে অনুরোধ করেন। এ ভাবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে ডেলিভারি করাতে রাজি হলে ক্ষোভে ওটি’তে নিয়ে গর্ভবতী ওই নারীর মলদ্বার দিয়ে পেটে তরল এনিমা (সাবান পানি) ঢুকিয়ে দেন। এতে নবজাতক পেটের উপরি অংশের দিকে উঠে আসছে দেখে পেটে হাঁটু দিয়ে চাপ দেন এবং বলপ্রয়োগ করে তার গর্ভের সন্তান মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেন প্রসূতি উম্মে কুলসুম। এনিয়ে চিকিৎসক মরিয়য়ের সঙ্গে স্বজনদের বাকবিত-া হয়। বেলা পাঁচটায় গর্ভবতী ওই নারীর প্রসব করাবেন না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন। নিরুপায় স্বজনরা প্রসূতিকে চরফ্যাশন উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
চরফ্যাশন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ধাত্রী (মিড ওয়াইফ) আছমা বেগম বলেন, প্রসূতি উম্মে কুলসুমের পানি পাতি ভাঙা ছিল। অনেক চেষ্টার পর রাত ৮টায় স্বাভাবিক নিয়মে তার মৃত বাচ্চা টেনে বের করেছি। এ সময় নবজাতকের হাত-পা ও শরীর শক্ত ছিল।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. মরিয়ম আক্তার সনিয়া মোবাইলফোনে জানান, স্বজনরা দুইদিন বাসায় চেষ্টার পর তাকে হাসপাতালে এনেছেন। তখন নবজাতকের অবস্থা খারাপ ছিল। তার পরও আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রসূতির দেরি সহ্য হচ্ছিল না। আবার সিজার করতেও রাজি হয়নি। তাই তাকে হাসপাতালে যেতে বলেছি। আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় তার ওপর অমানবিক আচরণ এবং আমার বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ সঠিক নয়।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া জানান, প্রসূতির স্বজনদের মৌখিক অভিযোগে পুলিশ ঘটনা তদন্ত করেছে। পরবর্তীতে তারা আর লিখিত অভিযোগ করেনি।
তবে প্রসূতির স্বজনরা জানিয়েছেন, থানা পুলিশ সরজমিন এসে পরিদর্শন করলেও অভিযোগ নেয়নি। পুলিশ তাদেরকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর