× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আল জাজিরার প্রতিবেদন / ইসলামাবাদে মন্দির নির্মাণের অনুমোদন ইসলামিক পরিষদের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ২৯, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১:৪৫ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানে হিন্দুদের একটি নতুন মন্দির নির্মাণ অনুমোদন দিয়েছে দেশটির ইসলাম বিষয়ক সর্বোচ্চ পরিষদ। তারা বলেছে, রাজধানী ইসলামাবাদে একটি নতুন মন্দির নির্মাণ শুরু করা যেতে পারে। কারণ, ইসলামিক আইন সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপাসনার জন্য মন্দির স্থাপনকে অনুমোদন দেয়। এ কথা জানিয়ে দিয়েছে কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি। এটি হলো রাষ্ট্র পরিচালিত ধর্মীয় নেতাদের একটি পরিষদ। ধর্মীয় ইস্যুতে তারা সরকারকে উপদেশ বা পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, বুধবার পরিষদ এমন রায় দেয়ার পর পাকিস্তান পার্লামেন্টে হিন্দুদের একজন প্রথম সারির নেতা লাল মালহি ভূয়সি প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য, রাজধানী ইসলামাবাদে একটি মন্দিরের নির্মাণকাজ আকস্মিকভাবে স্থগিত করে দেয় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। এরপর এ নিয়ে দেনদরবার চলতে থাকে। তার মাঝেই পরিষদ বুধবার ওই অনুমোদন দেয়। এখানে আরো বলে নেয়া যেতে পারে যে, কট্টরপন্থি মুসলিমদের পক্ষ থেকে আতঙ্ক ছিল যে, ইসলামাবাদে ওই মন্দির নির্মাণ হলে তা ধর্মের বিরুদ্ধে কর্মকান্ডে ব্যবহার করা হবে। এমন উদ্বেগের পরে ইমরান খানের সরকার মন্দিরটির নির্মাণ কাজ স্থগিত করেন। কেউ কেউ জোর করে ওই মন্দিরের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেন। এতে দেখা দেয় উত্তেজনা।
অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জনগণের অর্থ ব্যবহার করা যাবে কিনা, এ বিষয়ে কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজির কাছে পরামর্শ চান ইমরান খান। এর আগে তিনি ওই মন্দিরটি নির্মাণে ৬ লাখ ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে বুধবার পরিষদ যে রায় দিয়েছে তা ইমরান খান মেনে চলবেন কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মন্দির নির্মাণে তহবিল সরবরাহ দেয়ার একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বিষয়েও ইমরান খান সমঅধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন তিনি মন্দির নির্মাণে আনুষ্ঠানিক নির্দেশ ইস্যু করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজধানী ইসলামাবাদে বসবাস করেন প্রায় ৩০০০ হিন্দু। কিন্তু কার্যত সেখানে কোনো মন্দির নেই। পাকিস্তানে হিন্দু ও মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। তবে কখনো কখনো হিন্দু মেয়ে বা ছেলেদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ আছে। ১৯৪৭ সালে ভারতের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে পাকিস্তানের বহু হিন্দু দেশ ত্যাগ করে ভারতে এসে অবস্থান নিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর