× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সুনামগঞ্জে গ্রিন হাউজ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন

বাংলারজমিন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
৩০ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার

 হাওরাঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জে বছরের বেশি সময় নিমজ্জিত থাকে পানিতে। অকাল বন্যা আর অতি বৃষ্টি নিত্যদিনের সঙ্গী। ফলে জায়গার অভাবে সবজি চাষীরা চারা উৎপাদন করতে পারেন না। জেলার বাইরে থেকে আসা নি¤œমানের সবজি চারার ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয় তাদের। এতে করে সবজির ফলনও কম পান সবজি চাষীরা। এ অবস্থায় আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘গ্রিনহিল সিডলিং ফার্ম’।
গ্রিন হাউজ পদ্ধতিতে মাটিবিহীন উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের সবজি চারা উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চলে এই পদ্ধতিতে বারো মাস উচ্চফলনশীল সবজির চারা উৎপাদন এটিই প্রথম।
এতে স্থানীয় কৃষকরা বাড়ির কাছে উন্নতমানের চারা পাচ্ছেন।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম আমপাড়ায় দেড় একর জমি ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘গ্রিনহিল সিডলিং ফার্ম’। এই ফার্মে একসঙ্গে ৫০ হাজার চারা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। মাটিবিহীন পদ্ধতিতে শূন্য মৃত্যুহার ও পোকা-মাকড়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন চারা বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে আগাম উচ্চ ফলনশীল কয়েক প্রজাতির টমেটো, লাউ, ফুলকপি ও  মরিচের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। মাটির বদলে প্লাস্টিকের তৈরি বিশেষ ট্রেতে কোকোপিট ব্যবহার করে শতভাগ শিকড়যুক্ত চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদিত প্রতিটি চারা দুই থেকে তিন টাকা দরে চাষী পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা জানান, পলি হাউজের ভেতরে উৎপাদিত চারা ২০ দিন পরে রোপণযোগ্য হয়ে ওঠে। চারাগুলো শতভাগ শিকড়যুক্ত থাকায় রোপণের পর মৃত্যুহার প্রায় শূন্য এবং মাটিবাহিত রোগজীবাণু মুক্ত। আধুনিক এই পলি হাউসে প্লাস্টিক ট্রেতে মাটির বদলে নারকেলের ছোবড়া থেকে তৈরি কোকোপিট প্রক্রিয়াজাত ও জীবাণুমুক্ত করে বীজ বপন করা হয়। রোদের তাপ থেকে চারার সুরক্ষার জন্য উপরে শেড নেটজুড়ে দিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয় কৃত্রিম উপায়ে। তাছাড়া গ্রিন হাউসের ভেতরে রয়েছে কৃত্রিম দাঁড়কাক। কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে পোকা ঢুকলে তা ওই দাঁড়কাক শুষে নেয় সহজে।
গ্রিনহিল সিডলিং ফার্ম’র উদ্যোক্তা হাসান আহমদ বলেন, প্রথম বছরেই কৃষকদের কাছে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। কৃষকদের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প বৃদ্ধি করবো। আমরা ভবিষ্যতে ৫ থেকে ১০ লাখ চারা উৎপাদনের সক্ষমতা বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছি।  
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, অতি গরম, অতি বৃষ্টি, অতি রোদ থেকে চারা রক্ষা করার জন্য এই ফার্ম সুনামগঞ্জে প্রথম চালু হয়েছে। এখানে নিয়মিত চারা উৎপাদন করতে পারলে শাক-সবজি উৎপাদন বেড়ে যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর