× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফ্রান্সে নিরাপত্তা জোরদার / ক্ষোভে উত্তাল মুসলিমবিশ্ব

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ৩১, ২০২০, শনিবার, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

ফরাসি মূল্যবোধ ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডামারনিন বলেছেন, ইসলামিক আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে ফ্রান্স। তাই আরো হামলা হতে পারে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফ্রান্সজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে- মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র ও তার পরবর্তী ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। বিক্ষোভ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয় ও আফ্রিকাজুড়ে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে প্রতিবাদ হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতের মুম্বই, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে পাকিস্তানে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
একই ঘটনা ঘটেছে লেবাননে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন টেলিগ্রাফ। এতে বলা হয়, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাসের দিকে বিক্ষোভ করে এগিয়ে যেতে থাকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। ব্যারিকেড দিয়ে তাদের গতিরোধ করে পুলিশ। তা ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এ সময় তারা ‘ফরাসি পণ্য বর্জন করুন’ স্লোগান দিতে থাকেন। অনেককে দেখা যায় ম্যাক্রনকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী’ লেখা ব্যানার বহন করতে। ঢাকায় বিক্ষোভকারী আকরামুল হক বলেছেন, ইসলামভীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাক্রন। তিনি ইসলামের শক্তি জানেন না। মুসলিম বিশ্ব এর বৃথা যেতে দেবে না। আমরা জেগে উঠবো এবং তার (ম্যাক্রন) বিরুদ্ধে সংহতি প্রকাশ করবো। এদিন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বাংলাদেশি কিছু বিক্ষোভকারী। ম্যাক্রনের ছবিতে তার গলায় ঝুঁলিয়ে দেয়া হয় জুতার মালা।
মুম্বইয়ে দেখা যায় শতাধিক পোস্টার। তাতে ম্যাক্রনের মুখের ওপর বুট দেখা যায়। এ ছবিতে তাকে দানব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এসব পোস্টার ফুটপাতে এবং বিভিন্ন রাস্তায় লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
লেবাননের বৈরুতে অবস্থিত ফরাসি রাষ্ট্রদূতের বাসভবন। একটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ বের হয়ে ওই বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় তাদেরকে নিবৃত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৩ শত মানুষ।
আল আকসা মসজিদে জুমার নামাজের পর পরই হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করেন। তারা মহানবী (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্রের নিন্দা জানান। বিক্ষোভকারীরা বলেন, যে জাতির নেতা মোহাম্মদ (স.) সেই জাতি পরাজিত হবে না। ফ্রান্সে যে বিশৃংখল কর্মকান্ড ঘটছে এবং সহিংসতা হচ্ছে, তার জন্য আমরা দায়ী করবো ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। এসব ঘটছে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ম্যাক্রনের বক্তব্যের জন্য। আল আকসা মসজিদে বয়ানের সময় এসব কথা বলেন ইকরিমা সাব্রি। ইসরাইল দখলীকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনিরা ফ্রান্সের একটি বিশাল পতাকা পদদলিত করে। অন্যরা ফরাসি পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেছে। হামাস শাসিত গাজায় কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা ফ্রান্সবিরোধী বক্তব্য দিতে থাকেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর