লাকসাম সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল আলী। ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা নারী, শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা করেছে সহকারি প্যাথলজি শাহিনুর আক্তার জেসমিন (২০)। গত ২১শে অক্টোবর মামলা করার পর মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেন। কুমিল্লা নারী শিশু নির্যাতন সেলটি গত ১১ দিন পরও মামলাটি এখনও তদন্ত করেনি। মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য অব্যাহত ভাবে ডাক্তারের লোকজন হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন শাহিনুর।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, লাকসাম উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. আবদুল আলী। লাকসাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত প্যাথলজি সহকারী শিক্ষা (নবিশ) শাহিনুর আক্তার জেসমিন। এর পূর্বে জেসমিন আধুনিক হাসপাতাল লিঃ নার্সের সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিল।
ওই সময় থেকে ডাক্তার আবদুল আলীর সাথে জেসমিনের পরিচয় হয়। ওই হাসপাতালে মুক্তা নামে তার এক বান্ধবী ছিল। সেও আধুনিক হাসপাতালে সহকারী নার্স হিসাবে কর্মরত ছিল। এরপর ডা. আলী মুক্তাকে বিয়ে করেন। তখন থেকে বিভিন্ন সময় সরকারি হাসপাতালে নার্স হিসাবে চাকরি দিবেন বলে ডা. আলী জেসমিনকে জানান। জেসমিনের বাড়ী উপজেলা কান্দিরপাড় ইউনিয়নে অশ্বতলা গ্রামে। মাঝে মাঝে ডা. আলী জেসমিনদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত। বিভিন্ন সময় ডাক্তার তাকে কুপ্রস্তাব দিত। জেসমিন তা প্রত্যাখ্যান করত। ডা. আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তার নিকট জেসমিনের বিভিন্ন ছবি রয়েছে। ঘটনার পূর্ব থেকে ডাঃ আলী জেসমিনকে জানায় তার কথা না শুনলে তার ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। গত ১৯ অক্টোবর রাত ৯টায় ডাঃ আলী জেসমিনদের বাড়িতে যায়। ওইসময় ঘরের মধ্যে একা পেয়ে ডাঃ আলী জেসমনিকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাঁর চিৎকারে অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ওইসময় ডা. আলী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। গত ২১ অক্টোবর কুমিল্লা নারী- শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে শাহিনুর আক্তার জেসমিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেন কুমিল্লা নারী-শিশু নির্যাতন সেলকে। গত ১১ দিনেও মামলাটি তদন্ত না হওয়ায় অব্যাহত ভাবে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছে ডাক্তারের লোকজন। মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য শাহিনুর এর বাবাকে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শাহিনুর আক্তার জেসমিন।