বরগুনার আমতলী পৌরশহরসহ ৭টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্পটে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) নিয়ে চলছে জমজমাট বাজি (জুয়া) খেলা। স্থানীয় বেশকিছু যুবকরা একত্রিত হয়ে প্রতিদিন রাতে এ বাজি (জুয়া) খেলছে। এতে বাজিতে (জুয়া) হেরে অনেক যুবক যেমন সর্বস্বান্ত হচ্ছেন তেমনি নৈতিক অবক্ষয় হয়ে খারাপ পথেও চলে যাচ্ছে অনেকে। জানা গেছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন রাতে পৌর শহরের নতুন বাজার চৌরাস্তায় একটি মার্কেটের মধ্যে দু’টি দোকানে, বটতলা ও একে স্কুল সড়কের কয়েকটি চায়ের দোকানে এবং পুরান বাজার নুরজাহান ক্লাবের সামনে, পশ্চিম মাথায় রাস্তার ডালের একটি দোকানে, লঞ্চঘাট ও ছুড়িকাটা স্ট্যান্ডের কয়েকটি চায়ের দোকানে বসে আইপিএল খেলা নিয়ে বাজি (জুয়া) খেলছে স্থানীয় বেশকিছু চিহ্নিত যুবক। এছাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী, গোজখালী, খেকুয়ানী ও কলাগাছিয়া বাজারের বেশ কয়েকটি স্পটে, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী ও গাজীপুর বন্দরের তিনটি স্পটে, কুকুয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা, কুকুয়া হাট ও চুনাখালী বাজারের বেশ কয়েকটি স্পটে, হলদিয়া ইউনিয়নের অফিস বাজার ও টেপুরা বাজারে, চাওড়া ইউনিয়নের তালুকদার বাজারে ও ডাক্তারবাড়ি বাস স্ট্যান্ডে, সদর ইউনিয়নের খুড়িয়ার খেয়াঘাট ও খলিয়ান বাস স্ট্যান্ডে এবং আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার ও তারিকাটা এমপি’র বাজারের বেশ কয়েকটি স্পটে বসে স্থানীয় যুবকরা একত্রিত হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) খেলা নিয়ে বাজি (জুয়া) খেলেন। বাজিতে (জুয়া) হেরে অনেক যুবক যেমন সর্বস্বান্ত হচ্ছে তেমনি অনেক যুবক নৈতিক অবক্ষয় হয়ে খারাপ পথেও চলে যাচ্ছেন। এদিকে আইপিএল নিয়ে বাজি (জুয়া) খেলে সর্বস্বান্ত হওয়া যুবকরা বাজি খেলার টাকা সংগ্রহের জন্য বাসা থেকে টাকা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে তা বিক্রি করে, বন্ধু-বান্ধব ও বিভিন্ন পরিচিত লোকদের কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে টাকা ধার এনে জুয়া খেলেন বলে জানায় সর্বস্বান্ত হওয়া একাধিক যুবকরা। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে উপজেলার গাজীপুর বন্দর ও মহিষকাটা বাস স্ট্যান্ডের দুই যুবক জানান, প্রতিদিন আইপিএল খেলায় অংশ নেয়া দুটি দলের জয়-পরাজয়, চার- ছয়, প্লেয়ার আউট- নটআউট, ২০ ওভারে কত রান হবে, এমনকি প্রতিটা বলে কত রান হবে তা নিয়েও বিভিন্ন পরিমাণের বাজি (জুয়া) খেলা চলে।
প্রতিটি খেলায় ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজি (জুয়া) খেলা হয়ে থাকে।
পৌর শহরের আরো একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিদিন রাতে পৌর শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে স্থানীয় কিছু চিহ্নিত যুবকরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন চায়ের দোকানে থাকা টেলিভিশন ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে আইপিএল খেলা দেখে বাজি (জুয়া) খেলায় অংশ নিয়ে থাকেন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, আইপিএল নিয়ে বাজি (জুয়া) খেলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে বাজি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।