× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তালতলী-আমতলী ব্রিজের বেহাল দশা

বাংলারজমিন

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
১ নভেম্বর ২০২০, রবিবার

বরগুনা জেলার আমতলী-তালতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের সংযোগ আয়রণ ব্রিজের বেহাল দশা। ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সংস্কারের অভাবে অত্যন্ত নড়বড়ে হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।  ভোগান্তি  রয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বরগুনা জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০ ফুট লম্বা এ আয়রণ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। মাঝে মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে দু-একবার সংস্কারও করা হয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে ব্রিজটির স্লিপার ভেঙে ও দেবে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে দিলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সংস্কার না করায় বর্তমানে ব্রিজটির বেহাল দশা।
ব্রিজটির দুই পাড়ে পঁচাকোড়ালিয়া বাজার, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, চরকগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরকগাছিয়া রশিদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা, পাহলান বাড়ি নুরানি মাদরাসা, ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম কলেজ, বাবু আলী দাখিল মাদ্রাসা, পঁচাকোড়ালিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খানকায়ে হুসাইনিয়া নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ব্রিজটি দিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন। শনিবার (৩১শে অক্টোবর) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপারগুলোর বেশির ভাগই ভেঙে যাওয়াতে ক্রস অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ব্রিজটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা স্লিপারের নিচে বাঁশ বেঁধে ব্রিজটির ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এ ব্রিজ দিয়ে পারাপারের সময় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। ব্রিজটি দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করাতে না পারায় বিপাকে পড়েন অটোবাইক, মোটরসাইকেল, টেম্পো, রিকশা, ভ্যানসহ অভ্যন্তরীণ রুটের বাহনের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় আলতাফ পাটোয়ারী ও আইউব মোল্লাসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধিই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। তাই দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত আয়রণ ব্রিজটি সংস্কার করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর