× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাজীপুরে মেডিকেল ছাত্রীকে প্রতিবন্ধী বানিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
১ নভেম্বর ২০২০, রবিবার

প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, অযত্ন, অনাদর ও অবহেলায় গাজীপুরের শ্রীপুরের এক মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া মেধাবী ছাত্রী কিয়া আক্তার মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ওই ছাত্রীর বাবা’র রেখে যাওয়া কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে আত্মসাতের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে কৌশলে অসুস্থ প্রতিবন্ধী বানিয়ে রেখে তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ছাত্রীটির মামা ও মামার বাড়ির লোকজনের। চাচাদের কবল থেকে ওই মেয়েটিকে রক্ষা করে সুস্থ করে তোলার ব্যাপারে আইনি সহায়তা চেয়েছেন তার মামা ও মামা বাড়ির লোকজন। এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত তিন চাচা ও  স্বজনরা বলছেন, অনাথ ওই মেয়েটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। অভিযোগে জানা গেছে, জেলার শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ বারতোপা গ্রামের কফিল উদ্দিনের মেয়ে কিয়া আক্তার। পড়াশোনা করতেন একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে। কিন্তু মা সড়ক দুর্ঘটনায় এবং বাবার অপমৃত্যুর পর ওই ছাত্রীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
বন্ধ হয়ে যায় কিয়ার পড়াশোনা। স্বজনদের অবহেলায় আর লোভী মানসিকতায় কিয়া মানবেতর জীবন যাপন করছে। অথচ তার বাবার রেখে যাওয়া বাসা-বাড়ি, জায়গা-জমি ভোগ করছেন চাচারা। উন্নত চিকিৎসা করানো গেলে হয়তো দ্রুতই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে মেধাবী এই শিক্ষার্থী।
তারা মামা কামাল হোসেন ও মামার বাড়ির অন্যান্য লোকজনের অভিযোগ, বাবা-মা না থাকায় চাচাদের নজর পড়ে কিয়াদের প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যমানের সম্পত্তির ওপর। ওই সম্পত্তির লোভের কারণে কিয়ার চাচারা তাকে নেশা জাতীয় খাবার ও ভুল ওষুধ প্রয়োগ করে এবং শারীরিক নির্যাতন করে অস্বাভাবিক অবস্থায় পরিণত করেছে কিয়াকে। কিয়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণের দাবি করেছেন তিনি। তবে কিয়ার চাচা রমিজ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, দুলাল তাদের বিরুদ্ধে কিয়ার মামাদের তোলা নানা অভিযোগ অস্বীকার করে তার সঠিক যত্ন ও সুচিকিৎসা করানো হচ্ছে বলে দাবি করেন। তারা বলছেন, তাদের মেয়ে মনে করেই কিয়াকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যাতে সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে এবং তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। সম্পত্তির কোনো লোভ নেই তাদের। এ ছাড়া এত বেশি টাকা মূল্যের জমিও রেখে যায়নি কিয়ার বাবা। স্থানীয় মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য, মো. সুরুজ্জামান ঘটনাস্থল দেখে একটি বদ্ধ ঘরে মাটিতে মেয়েটিকে যে পরিবেশে রাখা হয়েছে তা থাকার উপযুক্ত পরিবেশ নয় এবং এই পরিবেশ থেকে তাকে উন্নত পরিবেশে রেখে দ্রুত সুচিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন। তিনি আরো জানান, তার জানা মতে মেয়েটির চাচারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর