টাঙ্গাইলের বাসাইলে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিশে এক মুক্তিযোদ্ধাকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের মটরা গ্রামের খানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খান (৭১) ওই এলাকার মৃত নওজেশ আলী খানের ছেলে। পুলিশ ও নিহতের ছোট ভাই মো. করিম খান জানান, সম্প্রতি লতিফ খানের পুকুরের পাশে এক আত্মীয়ের পুকুর থেকে আবু খান তার ছেলেদের নিয়ে মাছ ধরছিল। এ সময় করিম খান তাদের পুকুরে মাছ ধরার জাল ও অন্যান্য উপকরণ ফেলতে নিষেধ করেন। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে উভয় পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা সুরাহার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান খান শুক্রবার বিকালে তার বাড়িতে আবু খান ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিমাংসার জন্য একটি গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন। সালিশে প্রথমপক্ষে আবু খান তাদের কথা উপস্থাপন শেষে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা লতিফ খান প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে গেলে, আবু খান ও তার ছেলেদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে কিলঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে গলাটিপে ধরা হয় বলে জানান তার ভাই করিম খান। বাইরে চিৎকার শুনে করিম খানসহ অন্যরা লতিফ খানকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাবলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহজাহান খান বলেন, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। মিমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশে বসা হয়। সালিশের একপর্যায়ে ঘরের বাইরে গিয়ে দুইপক্ষের উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং তারা সংঘর্ষে জড়ায়। ওই মুক্তিযোদ্ধা বেশি আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিটন (৪০) ও উজ্জল (৩৮) নামের দুই ব্যক্তিকে থানায় আনা হয়েছে।