× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শমসেরনগরে ইউএনও পরিচয়ে অভিনব প্রতারণা

বাংলারজমিন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৩১ অক্টোবর ২০২০, শনিবার

কমলগঞ্জের শমসেরনগরের কাজী বেকারীতে মোবাইলফোনে নিজেকে কমলগঞ্জের ইউএনও পরিচয় দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক দফাদারকে ব্যবহার করে কৌশলে এই টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক। এ সময় বাজারের বেশক'টি মিষ্টি, বেকারী দোকানের তালিকাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা দাবি করা হয়। শনিবার বিকালে শমসেরনগর বাজারের অপর একটি বেকারীতে গেলে প্রতারনার এ বিষয়টি প্রকাশ পায়। ইউএনও পরিচয় দিয়ে মোবাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীর সঙ্গে কথা বলে তার মাধ্যমে পরিষদের দফাদারকে ব্যবহার করে শমশেরনগর বাজারে এই প্রতারণা করা হয় বলে জানা গেছে। কাজী বেকারীর মালিক সোয়াব জানান, শমশেরনগর ইউনিয়ন দফাদার মনু মিয়া বাজারের বেকারী ও মিষ্টি দোকানে এসে ইউএনও পরিচয়ে একটি মোবাইল নাম্বারে কথা বলতে অনুরোধ জানায়। এ সময়ে ০১৭৩১৫৯৯৪৬৬ মোবাইল নম্বরে কল দিলেই নিজেকে কমলগঞ্জের ইউএনও পরিচয় দিয়ে বিএসটিআইসহ সব ধরণের লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চায়। তখন লাইসেন্স আছে জানানোর পর বলা হয় রোববার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কথা বলার সময় নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে লাইসেন্স না থাকলে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এবং লাইসেন্স থাকলে ৫০ হাজার টাকা। অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে হলে ১০ হাজার টাকা রকেট নাম্বার ০১৭৯৩৬৬৯০০৩ নাম্বারে পাঠাতে বলে। ভয়ে ওই ব্যবসায়ী ওই রকেট নাম্বারে ৫ হাজার টাকা পাঠান। পরে সন্তোষ্ট না হয়ে পরবর্তীতে কাজী বেকারীর মালিক সোয়াবকে ধমক দিলে পুনরায় প্রতারকের বিকাশ নাম্বার ০১৮১৩০১৫৮৭১ তে বাকি টাকা পাঠাতে বললে সে কথা মত তিনি ওই বিকাশ নাম্বারে আরও ৫ হাজার টাকা পাঠান। শনিবার বিকালে ঢাকা বেকারীর মালিক জাকিরের সাথে ০১৭৩১৫৯৯৪৬৬ নাম্বারে ইউএনও পরিচয় দিয়ে টাকা দিতে দাবি করলে বিকাশে না দিয়ে সরাসরি এসে টাকা নিতে তিনি অনুরোধ করেন। পরে তিনি বিষয়টি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে জানান। পরে তারা ইউএনও পরিচয়কারীর মোবাইল নাম্বার যাচাই করতে গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি পাস হয়। এ বিষয়ে আলাপকালে শমশেরনগর ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে ছিলাম। এ সময় একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে। তিনি নিজেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে একজন দফাদারের নাম্বার চাইলে আমি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মনু মিয়ার মোবাইল নাম্বার দেই। দফাদার মনু মিয়া বলেন, আমার কাছে ইউএনও পরিচয় দিয়ে ০১৭৩১৫৯৯৪৬৬ নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে শমশেরনগর বাজারের প্রতিটি বেকারী ও মিষ্টি দোকানের নাম, মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে উনার সাথে কথা বলিয়ে দিতে বলেন। পরবর্তীতে ফোনকলের নির্দেশ মোতাবেক আমি প্রতিটি দোকানের তালিকা করি এবং তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম্বারে উনাকে কথা বলে দেই। পরে কাজী বেকারির মালিকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, আমি ইউএনও স্যারের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে দফাদারকে ডেকে এনে শাসিয়ে দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর ১০ হাজার টাকা ফেরত দিতে এবং থানায় সাধারণ ডায়েরী করার জন্য বলেছি। কমলগঞ্জের ইউএনও আশেকুল হক বলেন, এটি অভিনব প্রতারণা। ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ওই দফাদারকে আটক করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর