× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত গৃহবধূকে আটকে রেখে ধর্ষণ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১ নভেম্বর ২০২০, রবিবার

মিথ্যা তথ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে ফুসলিয়ে অপহরণের পর ঢাকার দোহারে ৬ দিন আটকে রেখে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত ওই গৃহবধূ ধর্ষকের দোহারের বাসা থেকে পালিয়ে পোস্তগোলা এসে তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। পরে ওই গৃহবধূর দেয়া তথ্যে গত শুক্রবার রাতে দোহারের নিজ বাসা থেকে পুলিশ অপহরণকারী ও ধর্ষক মাহফুজ নামে এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল দুপুরে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই’র পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, গত ২৩শে অক্টোবর সন্ধ্যায় ভিকটিম ওই গৃহবধূকে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে শারমিন নামে এক নারী জানায় যে, ভিকটিমের স্বামী অন্য এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত এবং তারা সেদিনই পালিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছে। এ খবর পেয়ে ভিকটিম তার স্বামীর নম্বরে ফোন করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি বন্ধ পায়। এতে ভিকটিমের সন্দেহ আরো বেড়ে যায় এবং সে মিথ্যা তথ্য দেয়া শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সহায়তা চায়। ঘটনার সময় ভিকটিম তার বাবার বাড়ি সোনারগাঁ অবস্থান করছিল।
এদিকে শারমিন ভিকটিমকে তার স্বামীর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২৩শে অক্টোবর সন্ধ্যায় ভিকটিমের বাবার বাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত মাহফুজ, মাহফুজের বড় ভাই জসিম উদ্দিন ও ভাবী শারমিন ছিল। ভিকটিম তাদের সঙ্গে মাইক্রোবাসে করে স্বামীর সন্ধানে যায়। এদিকে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে অপহরণের পর অপহরণকারীরা তাকে নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও গেন্ডারিয়াসহ বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরি করে। পরে তাকে নিয়ে অপহরণকারীরা দোহার এলাকায় মাহফুজের বাসায় যায়। সেখানেই আটকে রেখে টানা ৬ দিন মাহফুজ তাকে ধর্ষণ করে। ২৩শে অক্টোবর ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হলে তার পরিবার সোনারগাঁ থানায় জিডি করে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষিত ওই গৃহবধূ মাহফুজের দোহারের বাসা থেকে পালিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্তগোলা ব্রিজের কাছে আসে। ভিকটিমের স্বামীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পিবিআই’র এসআই শাকিল ওই গৃহবধূকে পোস্তাগোলা ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এদিকে শুক্রবার রাতে দোহার থেকে মাহফুজকে গ্রেপ্তারের পর মাহফুজ দাবি করে, গত ২ বছর আগে সোনারগাঁয়ে একটি ভবনের ওয়েল্ডিং কাজ করতে গিয়ে পাশের বাড়ির ওই মেয়ের সঙ্গে (ভিকটিম) তার পরিচয় হয়। এরপর আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। তার দাবি ২৩শে অক্টোবর ওই নারীকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে এসে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছে সে। তবে বিয়ের কোনো কাগজপত্র সে দেখাতে পারেনি।
অপরদিকে ভিকটিম জানায়, ২ বছর আগে তার বিয়ে হয়ে গেছে সোনারগাঁ এলাকাতেই। তার স্বামী ব্যবসা করে। মাহফুজকে ২ বছর আগে থেকে চিনলেও তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি করে ওই গৃহবধূ। 
ভিকটিমকে উদ্ধারের পর তার মা বাদী হয়ে মাহফুজ, তার বড় ভাই জসীম ও জসীমের স্ত্রী শারমিনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পিবিআই’র এসআই শাকিল বলেন, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাকে তার স্বামীর জিম্মায় দেয়া হয়েছে। আজ রোববার অথবা আগামীকাল সোমবার ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর