শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে আমরা স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারছি না। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে আমরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। এখন বছর প্রায় শেষ পর্যায়ে তাই আমরা শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনলাইনে সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো কড়াকড়ি করা যাবে না এবং শিক্ষার্থীদের যাতে সফটভাবে মূল্যায়ন করা হয় সে বিষয়ে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করেছি। শিক্ষার্থীদের সাথে কড়াকড়ি না করার জন্য আমরা শিক্ষকদেরকে জানিয়ে দিয়েছি।
শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইনে মূল্যায়নের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে আজ সোমবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ সব কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধুমাত্র ক্লাসের ৩০/৪০ নম্বরের জন্য অনলাইনে মূল্যায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদেরকে কুইজ, এমসিকিউ, অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপনা ও ভাইভাসহ বিভিন্নভাবে যাতে মূল্যায়ন করে নাম্বার দেয়া হয় সে বিষয়ে শিক্ষকদেরকে বলে দেয়া হয়েছে। এই মূল্যায়নগুলো হবে খুবই সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব। কোনো শিক্ষার্থী যদি সমস্যার কারণে যথাযথভাবে এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে না পারে তাহলে সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষক তাকে অন্য যেকোন সহজ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করতে পারবে, এক্ষেত্রে শিক্ষকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই কোনো শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, শিক্ষকদেরকেও আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি। তাদের জন্য কিস্তিতে ল্যাপটপের ব্যবস্থা করেছি। আমরা ৪ঠা এপ্রিল থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছিলাম। এই বছরের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস অনেক আগে শেষ হয়েছে কিন্তু আবার রিভিউ ক্লাস নেয়া হবে। এরপর প্রথম সেমিস্টারের মূল্যায়ন করা হবে, এছাড়া দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রায় শেষের দিকে। কোনো শিক্ষার্থী যদি নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন সমস্যার কারণে ক্লাসে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে তার অ্যাটেন্ডেন্সের ব্যাপারে কড়াকড়ি করা যাবে না। যেসব শিক্ষার্থীর ডাটা সমস্যা ছিল, তাদেরকে আমরা গ্রামীণফোনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ফ্রি ডাটা দিচ্ছি। এছাড়া ডিভাইস দেওয়ার জন্য অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত পাওয়া যাবে। অনলাইনে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং তাদেরকে কোনো অবমূল্যায়ন করা হবে না বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।