চরম উৎকন্ঠা, উদ্বেগ। গোটা বিশ্বের চোখ আমেরিকায়। কি হতে যাচ্ছে? কি হচ্ছে? নির্বাচনের অর্ধ সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। ২৬৪ ফিগারে আটকে আছে জো বাইডেন। ২১৪ ফিগার পেয়ে ডোনাল ট্রাম্প নিজেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেছেন। তামাম দুনিয়া অবাক। কি বলছেন ট্রাম্প। ভোট গণনা বন্ধ করতে আদালতে ছুটে গেছেন।
তিন দিন রেজাল্ট দাঁড়িয়ে আছে এক জায়গায়। আমেরিকার ইতিহাসে এমন নজির আর দেখা যায়নি। সামান্য ব্যবধান দেখেই যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অভিনন্দন জানানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়েন সেখানে বিশাল ব্যাবধানেও ট্রাম্প টলছেন না। বরং উল্টো নিজের পক্ষে জয় নেয়ার ব্যার্থ চেষ্টা চালান তিনি। শেষ পর্যন্ত অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে তাকে। কিন্তু বিশ্ব দেখল এক বোকা ট্রাম্পকে। দেখল এক লোভী ট্রাম্পকে। অথচ ট্রাম্প অন্য ইতিহাসও রচনা করতে পারতেন এ নির্বাচনে। আমেরিকার রীতিকে আঁকড়ে ধরে আগাম অভিনন্দন জানাতে পারতেন। বাইডেনকে তিনিই সবার আগে মিস্টার প্রেসিডেন্ট আখ্যা দিতে পারতেন। এমনটা করলে বাইডেনের মতো ট্রাম্পও বিশ্ববাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিতেন অন্য এক উচ্চতায়। শনিবার রাতে ম্যাজিক ফিগার ২৭০ পার হওয়ার পর জো বাইডেন বিজয় ভাষণে যেমনটা বলেছেন, আমি সবার প্রেসিডেন্ট। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন এবং যারা দেননি সবার। একই সঙ্গে বলেছেন, বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। অন্যদিকে ট্রাম্প জেনে বুঝেই আমেরিকাকে বিভেদের দেয়ালে বাঁধতে চেয়েছিলেন। আর এ দেয়াল ভেঙ্গে ঐক্যের ডাক দেয়া নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিহাস গড়লেন সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে। একই সঙ্গে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যামিলা হ্যারিসকে নিয়োগ দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নতুক পলক যুক্ত করলেন। অভিনন্দন জো বাইডেন।