× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বঙ্গবন্ধুকে যারা ইতিহাস থেকে মুছতে চেয়েছিলেন তারাই মুছে গেছেন: রওশন এরশাদ

দেশ বিদেশ

সংসদ রিপোর্টার
১৬ নভেম্বর ২০২০, সোমবার

বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়েগেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ উপহার স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই বঙ্গবন্ধুকে যারা ইতিহাস থেকে মুছতে চেয়েছিলেন তারাই এখন ইতিহাস থেকে মুছে গেছেন। এখন সোনার বাংলাকে তার আদর্শের আলোকে গড়ে তুলতে হবে প্রিয় বাংলাদেশকে। বন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশকে উন্নত দেশে পরিণত কাজ করতে হবে। গতকাল জাতীয় সংসদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় তিনি বলেন, এই দেশের গণমানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা রয়েছে। তিনিই আমাদের অন্ধকারের মধ্যে আলো দেখিয়েছেন। এখন তাঁর দেখানো আলোতেই, আমরা পথে হাঁটছি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকান্ড চলছে। বক্তব্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বেগম রওশন এরশাদ। সেটা ছিলো ১৯৭৪ সালের শেষ দিকের। তিনি বলেন, এই মহামানবের সঙ্গে একই প্লেনে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর সাথে থাকা কর্ণেল জামিল এসে আমাকে বলেন, ভাবি বঙ্গবন্ধু আপনাকে ডাকছেন। আমি বলি যাবো না? কর্ণেল জামিল পুনরায় যেতে বললে, বঙ্গবন্ধুর কাছে গেলাম। বঙ্গবন্ধু তখন শুয়েছিলেন। আমাকে দেখে উঠে বসতে গেলে বললাম, আপনি উঠবেন না। শুয়ে থাকেন, আমি আপনার মাথার কাছে বসছি। তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম। তিনি আমার মা-বাবার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। আমার স্বামীর কথা জিজ্ঞাসা করলেন। আমাকে প্রাণভরে আশির্বাদ করলেন। সেদিন দেখা না হলেও অনেক কিছুই অজানা থাকতো। বঙ্গবন্ধু নানান সাহসী বক্তব্য তুলে ধরে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি যদি কখনো পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের সুযোগ পাই তাহলে সেই শাসনতন্ত্রে এই প্রদেশের নাম হবে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার অনুভূতি ছিলো অত্যন্ত গভীর। তার এই গভীর অনুভূতি দেখে আশ্চর্য হয়ে যেতাম। গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর কষ্টের কথা তুলে ধরে রওশন এরশাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা না করলে তাহলে শতায়ু হতেন হয়তো। তাইতো কেবলই বিখ্যাত একটি গান মনে হয়, যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই.... আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা, বিশ্ব পেতো ফিরে এক মহান নেতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে গেলে আমার কান্না চলে আসে। বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্খা থেকে অনেক দুরে। তবে আশার কথা, তার যে রাজনৈতিক দর্শন তার প্রতিফলন দেখতে পাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী দিনরাত প্রায় ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সফলতা কামনা করি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর