করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারবে ফাইজার ও বায়োএনটেকের সম্ভাব্য টিকা। সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছেন টিকাটি তৈরির সঙ্গে জড়িত শীর্ষ বিজ্ঞানী ও বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগার জাহিন। তিনি বলেছেন, টিকাটি করোনার সংক্রমণ কমাবে, হয়তো ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। এ বিষয়ে তিনি ‘খুবই আত্মবিশ্বাসী’। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। খবরে বলা হয়, জার্মান বায়োটেকনোলজিক্যাল প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক ও মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজার যৌথভাবে টিকাটি তৈরি করছে। টিকাটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় প্রতিষ্ঠান দু’টি জানায় তাদের টিকাটি করোনা সংক্রমণ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে।
উগার জাহিন জানান, তার প্রত্যাশা আরো বিশ্লেষণ করলে প্রমাণ হবে যে, তাদের টিকাটি রোগটির বিস্তার বন্ধেও কার্যকরী। তবে সে কার্যকারিতা হয়তো ৯০ শতাংশ নয়। তিনি জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টিকাটির সংক্রমণ হ্রাসে কার্যকারিতা সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা পাবে বিজ্ঞানীরা। রোববার বিবিসি ওয়ানের দ্য অ্যান্ড্রু মার শো অনুষ্ঠানে জাহিন বলেন, একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ও এখন অবধি অন্যান্য ভাইরাসের ক্ষেত্রে আমরা যা দেখেছি, তার ভিত্তিতে আমার প্রত্যাশা, কোনো টিকা রোগ প্রতিরোধে উচ্চ পর্যায়ে কার্যকরী হলে, তা স্বল্প পরিমাণে রোগটির সংক্রমণ রোধেও কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, একটি উচ্চ পর্যায়ের কার্যকরী টিকা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হয়তো ৯০ শতাংশ নয়, কিন্তু ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে। তবে আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, সেটুকুও নাটকীয়ভাবে মহামারির বিস্তার কমিয়ে আনবে।’ বায়োএনটেক পূর্বে জানিয়েছে যে, তাদের সম্ভাব্য টিকাটির কার্যকারিতা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী মাসগুলোয়। টিকাটি উপসর্গহীন সংক্রমণ রোধ করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে এক বছর লেগে যেতে পারে। এ ছাড়া, টিকাটি গ্রহণের পর ঠিক কতদিন ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে তাও এখন অবধি নিশ্চিত নয়। তবে জাহিন রোববার জানান, অ্যান্টিবডির পরিমাণ বিবেচনায় প্রতি বছর বা দুই বছর পরপর বা পাঁচ বছর অন্তর অন্তর টিকাটি গ্রহণ করতে হতে পারে। তিনি বলেন, টিকাটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে গ্রীষ্মে। সে সময় এমনিতেও সংক্রমণের হার কমে আসবে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আগামী বছরের শরৎ ও শীত পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের টিকাদান নিশ্চিত করা।