বিদ্রোহী পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধকারীর সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলানোয় উদ্যোগী হলো তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ভোট ময়দানে জোরদার ভাবে নামতেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের এক প্রবীণ সাংসদ গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন শুভেন্দুর সঙ্গে। আরও দু’দফায় এই বৈঠক হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে, বৈঠকের কথা স্বীকার করেনি কোনও পক্ষই। জানা গেছে, প্রবীণ সংসদের কাছে শুভেন্দু স্পষ্ট জানিয়েছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু, যেভাবে পি কে - অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দলের কর্তৃত্ব নিচ্ছেন, তা তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, মমতা - সুব্রত বক্সিরা এখন দল চালান না। দল চালান পিকে, অভিষেকরা। ফলে, দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
নিজেকে দলের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে শুভেন্দু বলেন, এই দু’জনের দাপটের জন্যে তিনি নিজেও কাজ করতে পারছেন না। দলের কিছু নেতার মন্তব্যও যে তাঁকে আহত করেছে তাও জানান শুভেন্দু। সাংসদ শুভেন্দুকে জানান, তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সমস্তটাই জানাবেন। তারপর আবার শুভেন্দুর সঙ্গে বসবেন। এই বৈঠকের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিঘার রামনগরের জনসভায় শুভেন্দুর বিস্ফোরক হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। মমতা নিজে শুভেন্দুকে ভোট যুদ্ধে চান। পোরখাওয়া রাজনীতিক মমতা জানেন, বিজেপিকে আটকাতে শুভেন্দুকে কতটা প্রয়োজন। সেই শুভেন্দুই যদি বিজেপিতে যোগ দেন কিংবা আলাদা দল গড়েন তাহলে ভোট অঙ্কে তৃণমূল যে বেকায়দায় পড়ে যাবে তা বিলক্ষণ জানেন মমতা। তাই এই বরফ গলানোর প্রয়াস। দলের মধ্যে অভিষেক লবি আবার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শুভেন্দু সম্পর্কে মমতা স্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায়।