সিজনাল ও নন-সিজনাল কর্মী হিসেবে ইতালি যেতে আগ্রহীদের সতর্ক করেছে সরকার। গতকাল বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতালি সরকার সমপ্রতি বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি ও অ-মৌসুমি কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। গত ১২ই অক্টোবর ইতালি সরকার বেশকিছু দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাম অনুমোদিত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফলে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য ইতালিতে যাওয়া এবং সেখানে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, ফ্লুসি ডিক্রির আওতায় ইতালি যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের প্রলোভিত করতে বিভিন্ন দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ইতালিতে নিয়োগকারী বা মালিক তার জন্য নির্ধারিত এসপিআইডি ই-মেইল থেকে তিনি যাকে নিয়োগ দিতে চান তার নাম, পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে ইতালির স্থানীয় ডিসি অফিসে অনাপত্তিপত্রের জন্য আবেদন করবেন। নিয়োগকারী বা মালিকের আয়সহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় অনাপত্তি পেলে তা বাংলাদেশে আগ্রহী ব্যক্তির কাছে পাঠাতে হবে। ব্যক্তি ওই অনাপত্তি পত্রসহ ইতালি দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
ভিসা নিয়ে ইতালিতে এসে তিনি নিয়োগকারী বা মালিকের সঙ্গে সে দেশে ডিসি অফিসে গিয়ে চাকরির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করবেন। এ প্রক্রিয়ায় আবেদন দাখিলের সময় সরকার নির্ধারিত রেভিনিউ স্ট্যাম্প বাবদ ১৬ ইউরো ফি পরিশোধ করতে হবে। যারা আবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট হেল্প ডেস্কের সহায়তা নেবেন তাদের হেল্প ডেস্কের সার্ভিস চার্জ বাবদ একটি ফি পরিশোধ করতে হতে পারে, যা ক্ষেত্রবিশেষে ৫০-১০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে এ ছাড়া অন্য কোনো খরচ নেই। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত আবেদনসমূহ বাছাই করে প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীর অনুকূলে আলাদা আলাদা অনাপত্তিপত্র ইস্যু করা হবে। অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর নির্ধারিত ভিসা ফি পরিশোধ করে নিজ নিজ দেশে অবস্থিত ইতালিয়ান দূতাবাসে ভিসার আবেদন জমা করতে হবে। এমতাবস্থায়, ইতালিতে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের ভুয়া প্রলোভনে পড়ে কোনো অবৈধ বা অনিয়মতান্ত্রিক আর্থিক লেনদেন না করার বিষয়ে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।