মাউন্ট অবদালমা সামিটের জন্য রওয়ানা দেব কাল (সমতল থেকে বেশ কয়েক হাজার ফুট উপরে বসে মানবজমিন এর পাঠকদের জন্যে সচিত্র বিবরণ পাঠাচ্ছেন মাউন্ট অবদালমা অভিযাত্রী দেবাশীষ বিশ্বাস ) সকালে বেসক্যাম্পে ঘুম থেকে উঠেই মনটা ভালো হয়ে গেল। মেঘের কোলে উঁকি দিয়েছেন সূর্যদেব। অর্থাৎ অবদালমা শিখরে ওঠার পথ আমাদের প্রশস্ত হচ্ছে। যে কোনও পার্বতারোহনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আবহাওয়া রিপোর্ট। আবহাওয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে যে আগামী কদিন আমরা পরিষ্কার আবহাওয়াই পাবো। ব্রেকফাস্ট সেরে আমি, সত্যরূপ, মলয় আর কিরণ একটা ছোট বৈঠক করে নিলাম। ঠিক হল, কাল, অর্থাৎ শনিবার আমরা অবদালমা শৃঙ্গের পথে আমাদের অভিযান শুরু করবো। ক্যাম্প ওয়ান এ শনিবার রাত কাটাবো।
এরপর আবার চড়াই উৎরাই ভাঙা। রবিবার পৌঁছে যাবো ক্যাম্প টু তে। সোমবার অবদালমা শৃঙ্গ জয়ের বাসনা আমাদের. যদি, সত্যি পারি , তাহলে এটাই হবে প্রথম ভারতীয় দলের অবদালমা জয়। শৃঙ্গ জয়ের পর মঙ্গলবার আমরা পৌছাবো দু নম্বর ক্যাম্পে।
সেখান থেকে বেসক্যাম্পে। যত সহজে ঢাকার মানবজমিন এর পাঠকদের জন্যে কথাগুলি লিখছি, কাজটি যে ততটা সহজ নয় তা নিশ্চয়ই বুঝবেন সঙ্গের ছবিগুলো দেখে। আসলে পাহাড়ের অপ্রশস্ত পাকদন্ডী পথ বেয়ে ওঠাটাই কঠিন কাজ। আবাদালমা দেখতে যত নিরীহ হোক, এর আপাত শান্ত চেহারার মধ্যেও বিপজ্জনকতা লুকিয়ে আছে। আসলে দীর্ঘদিন পর্বতারোহন করার পর, মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার পরও যে কোনও পাহাড়কে আমার মনে হয় ভয়ঙ্কর - সুন্দর। এই যে আমি এখন বেস ক্যাম্পের বাইরে পাথরের একটা স্তুপের ওপরে বসে আপনাদের জন্যে প্রতিবেদন পাঠাচ্ছি, তখন চারপাশে এক জমাট বাঁধা নিস্তব্ধতা। এই নির্জনতায় যেন নিজের সঙ্গে দেখা হয়। এটাই পর্বতারোহণের মজা।