× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নয় দফা দাবি সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ কর্মকর্তাদের

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২২ নভেম্বর ২০২০, রবিবার

সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বৈষম্য দীর্ঘদিনের। এসব বৈষম্য নিরসনে বারবার দাবি জানানো হলেও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানান বেঞ্চ কর্মকর্তারা। সমপ্রতি হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত ৭১ জন বেঞ্চ কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর নয় দফা দাবি সংবলিত একটি চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা। একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, বেঞ্চ কর্মকর্তাদের প্রাধিকার প্রদানে তাদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করে থাকেন। এবার তাদের দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন তারা।  সুপ্রিম কোর্ট কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বেঞ্চ অফিসার’স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠতা সদস্য ইব্রাহিম আলম ভূঁইয়া মানবজমিনকে বলেন, বেঞ্চে অফিসারদের ন্যায্য নয় দফা দাবি সংবলিত একটি চিঠি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। আমাদের দাবির প্রতি তাদের সম্মান দেখানো উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম আর বৈষম্য থাকা এক ধরনের লজ্জা। প্রাধিকার অনুযায়ী  যার যার প্রাপ্য নিশ্চিত করা  যেকোনো প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব। আমার ধারণা বেঞ্চ অফিসারদের দাবি সংবলিত দরখাস্তটি সম্পর্কে প্রশাসন এখন পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি মহোদয়কে অবহিত করেনি। আমি বিশ্বাস করি, প্রধান বিচারপতি মহোদয়কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করলে প্রশাসনে বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। আমরা ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আবেদনপত্রটি নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা করবো। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে। বেঞ্চ কর্মকর্তাদের নয় দফা দাবিগুলো হচ্ছে- ২০১৪ সালের ফুলকোর্ট সভায় অনুমোদিত সংশোধিত নিয়োগ বিধি গেজেট আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করা, সহকারী  রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের ফুলকোর্ট সভার নিয়োগবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা, পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডেপুটি ও সহকারী রেজিস্ট্রার পদের সংখ্যা বৃদ্ধি, গ্রেড অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা, একই গ্রেডে প্রাধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ দূর করা, উচ্চতর গ্রেডধারী কর্মকর্তাদের চেয়ে অধিকতর নিম্ন গ্রেডধারী কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া এবং ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্ট রুলস অনুযায়ী বেঞ্চ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।  দাবির স্বপক্ষে আবেদনকারীরা জানান, ২০১৫ সালের অর্থ বিলে বলা হয়েছে- শ্রেণি প্রথা (১ম শ্রেণি, ২য় শ্রেণি, ৩য় শ্রেণি ও ৪র্থ   শ্রেণি) বিলুপ্ত করে প্রশাসন গ্রেডভিত্তিক প্রথা অনুসারে পরিচালিত হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে  এর  কোনো বালাই নাই। এখানে কোনো গ্রেডভিত্তিক গ্রেডেশন তালিকা নাই এবং সে অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় না। তারা আরো বলেন, প্রশাসনে গ্রেড অনুযায়ী প্রাধিকার প্রদানে বৈষম্য করা হয়। সেকশনে কর্মরত একজন কর্মকর্তার ন্যায় সমগ্রেড ভুক্ত বেঞ্চে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় না। আবার বেঞ্চে কর্মরত একই গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যেও প্রাধিকার প্রদানে বৈষম্য করা হয়। এমনকি কখনো কখনো নিচের গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তাদের অধিক সুযোগ-সুবিধা দেয়া  হয়, যা আইনের লঙ্ঘন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর