মধুর ভ্রান্তিবিলাস ছাড়া এই ঘটনাকে আর কি বলা যেতে পারে? করোনা আক্রান্ত হয়ে বিরাটির বাসিন্দা শিবদাস বন্দোপাধ্যায় খড়দহ এর বলরাম বসু সেবামন্দির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন। একই দিনে খড়দহের মোহিনীমোহন মুখোপাধ্যায়ও করোনা নিয়ে ভর্তি হন একই হাসপাতালে। দুই বৃদ্ধই সংকট জনক অবস্থায় পৌঁছান। মোহিনী বাবুকে খড়দহের হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় বারাসাত হাসপাতালে। কিন্তু, বলরাম বসু হাসপাতালের গাফিলতিতে শিবদাস বন্দোপাধ্যায় এর কাগজপত্র যায় বারাসাত হাসপাতালে। মোহিনী বাবু শিবদাস বাবুর নামেই চিকিৎসা পেতে থাকেন। কিন্তু, মোহিনী বাবু চিকিৎসায় সাড়া দেননি। তাঁর মৃত্যু হয়। বারাসাত হাসপাতাল কাগজপত্র দেখে শিবদাস বাবুর বাড়িতে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পৌঁছে দেয় ও জানায় কোভিড বিধি মেনে তাঁর দেহ দাহও হয়ে গেছে। শোকসন্তপ্ত পরিবার নিয়ামানুযায়ী শ্রাদ্ধের আয়োজন করে।
শ্রাদ্ধের সব আয়োজন যখন সাড়া তখন শ্রাদ্ধের আগের রাতে কোভিড নেগেটিভ শিবদাস বাবু হাসপাতালের আম্বুলেন্স চেপেই বাড়িতে আসেন। নিজের শ্রাদ্ধের আয়োজন দেখে তাঁর চোখ তখন ছানাবড়া। বাড়িতে তখন কান্নার বদলে আনন্দের রোল। সেদিনই মোহিনী বাবুর বাড়ির লোকরা জানতে পারল তিনি আর নেই। হাসপাতালের বাইরে থেকে তারা এতদিন শিবদাস বাবুর স্বাস্থ্যের উন্নতির কথা শুনে ভাবছিলো, মোহিনী বাবু আরোগ্য লাভ করছেন। যে হাসপাতালের বদান্যতায় এই ভ্রান্তিবিলাস ঘটলো তাদের কি শাস্তি প্রাপ্য?