× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ন্যাশনাল ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট / ইরানের হাতে ৫৫,০০০ ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা চালাতে সক্ষম মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ায়

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) নভেম্বর ২২, ২০২০, রবিবার, ১:০৪ পূর্বাহ্ন

ইরানের হাতে আাছে কমপক্ষে ৫৫,০০০ ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো বিভিন্ন পাল্লার। এসব ক্ষেপণাস্ত্রকে ব্যবহার করে তারা আশপাশের অঞ্চলকে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়াকে নরকে পরিণত করে দিতে সক্ষম। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে মধ্যম পাল্লার সেজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ১২৫০ মাইল। ফলে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আশপাশের অঞ্চলকে নাকানি চোবানি খাওয়াতে পারে তারা। অনলাইন ন্যাশনাল ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন ডেভিড অ্যাক্স। তিনি এতে আরো বলেছেন, এ বছর ৭ই জানুয়ারি ইরাকের দুটি ঘাঁটিতে এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরানি বাহিনী।
এতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কেউ নিহত হয়নি। এর আগে ২রা জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদ বিমানবন্দরে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোরের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ও শীর্ষ মিলিশিয়া নেতাদের ড্রোন হামলায় হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় ইউএস স্পেশাল অপারেশনস কমান্ড এমকিউ-৯ ড্রোন ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র। তার প্রতিশোধ নিতে ইরান ওই হামলা চালিয়েছিল। এতে বাগদাদের পশ্চিমে আল আসাদ বিমানঘাঁটির অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়। এ ছাড়া ইরাকের উত্তরাঞ্চল ইরবিলে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশন্স ফোর্সেস ও কূটনীতিকরা যেখানে অবস্থান করেন সেখানে হামলা চালানো হয়। দৃশ্যত এসব হামলায় তেহরান তার ছোট মানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। তবে ইরানের হাতে এর চেয়ে বড়, অনেক বড় রকেট আছে। এর পাল্লা অনেক বেশি। এমনকি তা পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। ইরানের হাতে মোতায়েনযোগ্য ৫৫,০০০ ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এর বেশির ভাগই স্বল্প পাল্লার। যেমন, এর মধ্যে রয়েছে শাহাব-১ এবং ফাতাহ-১১০। এ ছাড়া ইরানের হাতে আছে কিয়াম রকেট, যা ৫০০ মাইল পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে। তবে তাদের সেজ্জিল নামের মধ্যম পাল্লার যে ক্ষেপণাস্ত্র আছে তার পাল্টা ১২৫০ মাইল। ফলে সহজেই এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়াকে টার্গেট করতে পারে। তবে ইরানের ভূখণ্ড থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত করতে সক্ষম, এমন ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট ইরানের হাতে নেই। মন্টেরেতে মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ জেফ্রে লুইস এ বছরের জানুয়ারিতে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ ও এর ছবি ব্যবহার করে গবেষণা করেছেন। তারপর তিনি বলেছেন, এই হামলায় কিয়াম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
কিয়াম হলো সোভিয়েত স্কাড রকেটের মতো স্বল্প মাত্রার রকেট। এর ওজন ১৭০০ পাউন্ড। এটি বিস্ফোরক বহন করে। ওয়াশিংটন ডিসির সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিয়াম-১ এ ব্যবহার করা হয়েছে অধিক উন্নত প্রযুক্তি। এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে সে তার গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে, টার্গেট সনাক্ত করতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর