× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতীয় পরামর্শক কমিটির পর্যবেক্ষণ / যথাযথ গাইডলাইন মানছে না অনেক হাসপাতাল

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) নভেম্বর ২২, ২০২০, রবিবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সরকার কর্তৃক প্রণীত জাতীয় গাইডলাইন অনেক হাসপাতালেই যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। এতে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে করোনা চিকিৎসায়ও বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন। পরামর্শক কমিটি বলেছে, সমস্ত এয়ারলাইন এর কর্তৃপক্ষকে যাত্রার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর দ্বারা কোভিড ১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা প্রয়োজন। এ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে। পরামর্শক কমিটি বলছে ছাত্রছাত্রীরা ভ্যাকসিন না পেলে বিশ^বিদ্যালয়, কলেজ খোলা কঠিন। আঠারো বছরের উর্ধ্বে ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিটি।

গত ২০শে নভেম্বর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ২২তম সভা থেকে এই পরামর্শ দেয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা সভাপতিত্ব অনলাইনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কমিটি বলেছে, বিদেশ থেকে আগতযাত্রীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেশে প্রবেশ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে দেশে আসার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টসহ আসার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক যাত্রী টেস্ট ও রিপোর্ট ছাড়া আসছেন। এদের  কোয়ারেন্টিনে  রাখার জন্য প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে যাত্রী প্রতি ১৪ হাজার টাকা

সরকারের খরচ হচ্ছে। যাত্রীদের জন্যও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন কষ্টকর হচ্ছে। সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী বিভাগ এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত হলো-সমস্ত এয়ারলাইন এর কর্তৃপক্ষকে যাত্রার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর দ্বারা কোভিড ১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা প্রয়োজন। এ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে। এয়ারপোর্ট (বিশেষত ঢাকা), সীপোর্ট ও ল্যান্ডপোর্ট সমূহে রিপোর্ট চেক করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভূয়া রিপোর্ট সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কোন কারণে রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী আসলে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এটা যাত্রীর নিজ খরচে করা যেতে পারে। এক/দুই দিনের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় টেস্ট করে নেগেটিভ রিপোর্ট হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। তবে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়ীতে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখতে হবে। ইতিমধ্যে যারা কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়। কমিটি বলেছে, তাদের উল্লিখিত সুপারিশসমূহ জোরালোভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। ব্যত্যয়কারীদের জরিমানা করা যেতে পারে।

সরকার ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অক্সফোর্ড ও এ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছে । এজন্য অর্থ বরাদ্দও হয়েছে। কমিটি এটাকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্যাকসিন বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন।  বিভিন্ন পেশা ও জনগোষ্ঠিকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য সরকারি উদ্যোগে জাতীয় ভ্যাকসিন প্রদান পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। সভায় বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। প্ল্যানটি সম্পূর্ণ, যথাযথ বলে মতামত প্রদান ও সমর্থন করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা ভ্যাকসিন না পেলে বিশ^বিদ্যালয়, কলেজ খোলা কঠিন। আঠারো বছরের উর্ধ্বে ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড ১৯ রোগীদের ভর্তি, চিকিৎসাব্যবস্থা বিশেষত- অক্সিজেনসরবরাহ ও হাই ফ্লো ক্যানোলা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা নিশ্চিতকরণে প্রাইভেট হাসপাতাল সমূহের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সরকার কর্তৃক প্রণীত জাতীয় গাইডলাইন অনেক হাসপাতালেই যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছেনা বলে কমিটি মনে করছেন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য সামাজিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচারণা সরকার চালাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন বলে কমিটি মনে করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর