প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেছেন, করোনার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) যে সমস্যায় পড়েছেন, সে বিষয়ে সরকার অবগত। তাই প্রকৃত এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার ঋণ দিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সারদেরও নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বুধবার ফ্রিল্যান্সারদের নিবন্ধনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘করোনাকালীন বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ পরিস্থিতি’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিআরইউ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মীর নাসের হোসেন, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বক্তব্য রাখেন। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, করোনার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যে সমস্যায় পড়েছেন, তা দূর করা না গেলে অর্থনীতির শক্তি হারাবে।
অন্যান্য খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এর জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তরা ঋণ পেয়েছেন। অনেকেই পান নাই। যেটা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। গঠনমূলক সমালোচনা ঠিক আছে। কিন্তু অপপ্রচার করা হচ্ছে। যেটা ঠিক না। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। প্রকৃত এসএমই উদ্যোক্তাদের না পাওয়ায় মূলত সমস্যা হচ্ছে। সরকার এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি খাতে এসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। মূল লক্ষ্য হলো- প্রকৃত এসএমই উদ্যোক্তারা যেন প্রণোদনা পায়।
ফ্রিল্যান্সারদের বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ফ্রিল্যান্সাররা নিবন্ধন করতে পারলে তাদের কাজের সুযোগ বাড়বে। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের নিবন্ধন বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ইতিবাচকভাবে এগোলেও গড় জিডিপি অনুপাত কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আসেনি। এমনকি বন্ড মার্কেটও কার্যকর নয়। অনেকেই বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু গড় জিডিপির অনুপাত বাড়ছে না কেনো। আমাদের কাছেও এর সঠিক উত্তর নেই। তবে করের আওতা বাড়ানো না গেলে এই সূচকটির উন্নতি করা যাবে না। এমনকি কর বিষয়ে ব্যবসায়ীরা যে হয়রানির কথা বলেন তাও কমবে না।